আমার এক নাস্তিক বন্ধু আমার থেকে জানতে চেয়েছে মহানবী (সা) এর ইশারায় চাঁদ দুই খন্ড হয়েছিল।তবুও পৃথিবী অক্ষত ছিল কিভাবে ?এরূপ সে আরও কিছু অলৌকিক ঘটনার কথা বলল।আমি ভেবে দেখলাম সৃষ্টিকর্তার অশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে এগুলো ঘটেছিল।কিন্তু আমার বন্ধু তো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না । তাকে কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি দিব ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

'বিশ্বনবী (সা.)’র আঙুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল'

৩০ অক্টোবর (রেডিও তেহরান) : আজ হতে ১৪৩৭ বছর আগে এই দিনে (১৪ ই জ্বিলহজ্ব) বিশ্বনবী (সা.)’র মোজেজার প্রকাশ হিসেবে তাঁর আঙুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।

 

আবু জাহলের নেতৃত্বে একদল মূর্তি পূজারী ও ইহুদি  জানায় যে, মুহাম্মাদ (সা.) যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নিবে যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাতে পারেন।  রাসূল (সা.)’র আল্লাহর কাছে দোয়া করে আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে।

 

পবিত্র কুরআনের সুরা আলকামারের প্রথম দুই আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে:  "কিয়ামত আসন্ন এবং চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। তারা কোনো নিদর্শন সরাসরি দেখলেও মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘এতো চিরাচরিত জাদু’। "

 

ওই আরব মুশরিকরা এই মোজেজা অস্বীকার করে একে জাদু বলে অভিহিত করে। কিন্তু  উপস্থিত ইহুদিরা চাঁদ দুই ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। কারণ, ওই ইহুদিরা তাওরাতে পড়েছিল যে হযরত মূসা (আ.)’র উত্তরসূরি হযরত ইউশা (আ.)’র জন্য মহান আল্লাহ চাঁদ ও সূর্যকে স্থির করে রেখেছিলেন।

 

রাসূল (সা.) চাঁদকে এত স্পষ্টভাবে দুই টুকরা করেন যে ওই দুই টুকরার ব্যবধানের মধ্যে হেরা পর্বত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু আবু জাহল বলে ওঠে, “ তিনি নজরবন্দি করেছেন। যেসব লোক বিদেশে গেছে তারা ফিরে এসে সমর্থন জানালে তখন বুঝব।” বিদেশ থেকে আসা লোকেরা দেশে ফিরে এসে এ ঘটনার সত্যতাকে সমর্থন করলেও আবু জাহল বলে, “ তিনি গোটা পৃথিবীর সব লোককে নজরবন্দী করেছেন।

 

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মালাবার রাজ্যের (বর্তমান কেরালা অঞ্চল) ততকালীন রাজা চক্রবর্তী ফারমাস (চেরামান পিরুমেল) আকাশে চাঁদ দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার ওই অলৌকিক ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারেন যে আরব দেশে শেষ নবী(সা.)’র আবির্ভাব ঘটেছে ও রাসূল (সা.)ই চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন, তখন তিনি মক্কায় আসেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

 

ভারতের ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারিখে ফেরেশতা’য় ওই ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে।  

 

মার্কিন মহাশূন্য সংস্থা নাসার নভোচারীদের মাধ্যমে তোলা ছবিতেও চাঁদের মধ্যে গভীর ফাটলের চিহ্ন বা দাগ দেখা গেছে এবং এ থেকে স্পষ্ট হয় যে কোনো এক সময় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।

 

ভারতীয় রাজা যে ওই  ঘটনা দেখেছিলেন তার লিখিত বিবরণের একটি প্রাচীন দলিল বর্তমানে লন্ডনে ভারতীয় দপ্তরের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ওই দলিলে ভারতীয় সেই রাজার ভ্রমণের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ওই রাজা ভারতের দিকে ফেরার পথে ইয়েমেনে মারা যান। #

 

রেডিও তেহরান/এএইচ/৩০

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মহা ঝামেলা মনে হচ্ছে। চাদের দ্বিখণ্ডিত হবার সাথে পৃথিবীর অক্ষত থাকার সম্পর্ক আসে কিভাবে। 

তাকে বুঝিয়ে বলবেন বিজ্ঞান অনেক কিছুই করেছে। কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টির কাছে এগুলো খুবই সামান্য আর তুচ্ছ।  YouTube এ তাকে Size of the Earth লিখে Search দিতে বলেন। পুরো পৃথিবীর কাছে একটা ক্ষুদ্র বালুকনা যতটা না ক্ষুদ্র মহাবিশ্বের সাথে তুলনা করলে পৃথিবী সেই বালুকনার চাইতে ও অনেক ক্ষুদ্র ।

আর কোরআনে আল্লাহ বলেছেন আমাদের দুনিয়া আর ইহকাল এর জীবনের জন্য আমরা যা কিছু করি এসবের গুরুত্ব আল্লাহর কাছে একটা মশার পাখার সমান ও না। 

এখানেই তো মহাবিশ্বের আকৃতির সাথে কোরানের আয়াতের মিল পাওয়া যাচ্ছে। আর কোরান নাযিল হয়েছে 1400 বছরের ও বেশি পূর্বে। আল্লাহ হলেন সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী। 

পৃথিবীর মানুষের সব কিছু বুঝার ক্ষমতা কি করে হবে? আমাদের বিজ্ঞান কি পারবে সময়ের রহস্য ভেদ করতে? বলতে পারবে কোথায় এর শুরু আর কোথায় এর শেষ? কাজেই এই বিজ্ঞান অসম্পূর্ণ। এর উপর সে 100% বিশ্বাস করে কিভাবে? 

বিজ্ঞান তখনই কিছুকে অবৈজ্ঞানিক বলে যখন এর উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পারে না। কিন্তু আবিষ্কৃত হবার পর সেটা স্বীকার করে। 

এসব আপনার বন্ধু কে বলে দেখুন। তবে আল্লাহ হেদায়েত না করলে কিছুতেই কিছু হবেনা। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ