শীতকালে হাটুর উপরে ও নীচের দিকের মাংসপেশীতে প্রচুর চুলকায়, মাঝে মাঝে চুলকাতে চুলকাতে রক্ত বের হয়ে যায় টেরই পাই না। বিশেষ করে রাতে বিছানায় গেলে এটা বেশি হয়। অামি শীতে Vaseline body lotion ব্যাবহার করি।
পায়ে চুলকানির সমাধান কি?
খুব সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর ও অসহ্যকর কিছু সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো চুলকানি। চুলকানি এমন একটি সমস্যার নাম যা কিনা আপনাকে মাঝে মধ্যে এতোটাই অপ্রস্তুত করে ফেলে যেটার ব্যাখ্যা হয়তো বলে বোঝানো সম্ভব না। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ও হতে হয় যে লোকের তোয়াক্কা না করে আপনাকে এক ঘর লোকের সামনেই চুলকাতে বাধ্য হতে হয়। অনেকের আবার শীতের সময় চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। চুলকানির জন্য বাজারে বিভিন্ন ওষুধ বা মলম পাওয়া গেলেও দেখা যায় এসব মলম ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক। তাই আসুন দেখা যাক কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই আপনি আপনার চুলকানি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আপেল সিডার ভিনেগার চুলকানি সারানোর একটি সহজ উপায় হলো আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার। সামান্য কয়েক ফোঁটা ভিনেগার একটি তুলার বলে নিয়ে আপনার শরীরের চুলকানো অংশটিতে লাগিয়ে দিন। দ্রুত চুলকানি কমে যাবে। পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার ত্বক যদি হয় সংবেদনশীল হয় তাহলে পেট্রোলিয়াম জেলি হচ্ছে চুলকানি সারানোর সবচেয়ে উত্তম উপায়। পেট্রোলিয়াম জেলিতে কোন ক্ষতিকারক উপাদান না থাকায় এটি আপনার ত্বকের কোন সমস্যা না করেই চুলকানি সাড়িয়ে তুলবে। নারিকেল তেল চুলকানি সারানোর আরও একটি সহজ ও সস্তা উপায় হচ্ছে নারিকেল তেল লাগানো। নারিকেল তেলের পুষ্টি উপাদান আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি সাধন না করেই চুলকানি বন্ধ করতে সাহায্য করবে। লেবু লেবুর ভিটামিন সি কন্টেন্ট ও ব্লিচিং প্রোপার্টিজ ত্বকের চুলকানি সারাতে খুব কার্যকরী। শরীরে চুলকানি হলে একটি লেবু দুভাগে কেটে আপনার চুলকানি জায়গায় লাগান এবং শুকিয়ে ফেলুন। এতেই চুলকানি কমে যাবে।
এ ক্ষেত্রে চুলকানির মূল কারণ হচ্ছে যে শীত এলে তার ত্বক অধিক পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায় আর এই শুষ্কতার কারণ হচ্ছে বাতাসে যেহেতু শীতকালে জলীয় বাষ্প কমে যায় তাই বায়ুমণ্ডল ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ত্বকে চুলকানি শুরু হয়। সেই চুলকানি আরো বেড়ে যায় যখন নখ বা অন্য কিছু দিয়ে বারবার ত্বকের গায়ে চুলকাতে থাকে। মনে রাখতে হবে, আপনি যতই চুলকাবেন চুলকানির গতি ততই প্রবল হতে থাকবে।
তাই নখ দিয়ে কখনো চুলকানো উচিত নয়। যদি একান্তই অসহ্য হয়ে পড়ে তবে সে ক্ষেত্রে হালকাভাবে হাতের তালু দিয়ে ত্বক চুলকানো যেতে পারে। যদি শুষ্কতার কারণেই এরকম চুলকানি দেখা দেয় তাহলে ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে। ময়েশ্চারাইজার পাওয়া না গেলে অলিভঅয়েল ব্যবহার করলেও ত্বক ভালো থাকে।
চুলকানির পরিমাণ মারাত্মক হলে গ্লিসারিনের সাথে পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
সুত্রঃ চুলকানি