অনেক ক্ষেত্রে জ্বর হওয়া ভালো মনে করা হয় কারণ তা আমাদের দেহে অপ্রয়োজনীয় কিছু অনুজীবকে নাশ করে। জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাটা আমি মনে করি না কারণ শরীরে মাঝে মধ্যে অনিয়মের কারনে জ্বর আসতেই পারে। তা আবার কোন ঔষধ ছাড়াই সেরে যায়। তাতে বেশির থেকে বেশি ৩ দিন সময় লাগে। এতে একদিক থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। কারণ হয়তো আমাদের দেহের শ্বেত রক্ত কণিকা সে অনুজীবের প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। আর একবার তা সফল ভাবে দেহের সাধারণ কার্যকরীতার মধ্যেই দমন হয়ে গেলে পরের বার রোগ এতো সহজে হয় না। আর হলেও তা দমন করতে দেহ সফল হয়ে থাকে। কিন্তু প্যারাসিটামল খেলে শরীর ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে যায়, যার কারণে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
তাই বলা যায়, সাধারণ জ্বরে ৩ দিন অপেক্ষা করাই ভাল। ৩ দিনে যদি না কমে তাহলে ডাক্তার দেখানো আবশ্যক। কখনো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ গ্রহণ করা উচিৎ নয়। আর অনেকেই রোগ হলেই প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন সেটা একেবারে উচিৎ নয়৷ কারণ তা শুধু কিছুক্ষণের জন্যই আমাদের ভালো রাখে। পরে সে রোগ আবার হতে পারে। আর বিশেষ কথা এই যে, প্যারাসিটামল বছরে ১২টি খাওয়াও বিপদজনক হতে পারে। তাই ঔষধ সেবনে সাবধানতা বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
আবার জ্বরের সঙ্গে যদি অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায় তাতে ডাক্তার দেখানো উচিৎ। এক্ষেত্রে হেলা করা কখনোই ভালো হবে না।