বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায় কথা বলা হয়। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি বা ভিনগ্রহের কোন প্রাণীর উপস্থিতি। [১] তবে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে যে , যেসব দূর্ঘটনার উপর ভিত্তি করে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার বেশ কিছু ভুল, কিছু লেখক দ্বারা অতিরঞ্জিত হয়েছে এমনকি কিছু দূর্ঘটনার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের দূর্ঘটনার কোনই পার্থক্য নেই। [২][৩][৪]
আরো বিস্তারিত জানতে https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BE_%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও
পরিচিত, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ
অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ
রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায় কথা বলা হয়। অনেকে
মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা,
যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা
চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে
এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন
শক্তি বা ভিনগ্রহের কোন প্রাণীর উপস্থিতি। তবে
এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে যে , যেসব দূর্ঘটনার উপর
ভিত্তি করে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে চিহ্নিত করা
হয়েছে তার বেশ কিছু ভুল, কিছু লেখক দ্বারা
অতিরঞ্জিত হয়েছে এমনকি কিছু দূর্ঘটনার সাথে
অন্যান্য অঞ্চলের দূর্ঘটনার কোনই পার্থক্য নেই।
ত্রিভূজের বিস্তৃতি:
বিভিন্ন লেখকের বর্ণনায় বারমুডা
ট্রায়াঙ্গেলের বিস্তৃতিতে
ভিন্নতা রয়েছে।
এই ত্রিভূজের উপর দিয়ে মেক্সিকো উপসাগর থেকে
উষ্ণ সমুদ্র স্রোত বয়ে গেছে। এই তীব্র গতির স্রোতই
মূলত অধিকাংশ অন্তর্ধানের কারণ। এখানকার
আবহাওয়া এমন যে হঠাৎ করে ঝড় ওঠে আবার থেমে
যায়, গ্রীষ্মে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বিংশ শতাব্দীতে
টেলিযোগাযোগ, রাডার ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি
পৌঁছানোর আগে এমন অঞ্চলে জাহাজডুবি খুব
স্বাভাবিক একটি ঘটনা। এই অঞ্চল বিশ্বের ভারী
বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলকারী পথগুলোর অন্যতম।
জাহাজগুলো আমেরিকা, ইউরোপ ও ক্যারিবিয়ান
দ্বীপপূঞ্জে যাতায়াত করে। এছাড়া এটি হল প্রচুর
প্রমোদতরীর বিচরণ ক্ষেত্র। এ অঞ্চলের আকাশপথে
বিভিন্ন রুটে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত বিমান চলাচল
করে। ত্রিভূজের বিস্তৃতির বর্ননায় বিভিন্ন লেখক
বিভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ মনে করেন এর আকার
ট্রাপিজয়েডের মত, যা ছড়িয়ে আছে ফ্লোরিডা ,
বাহামা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপূঞ্জ এবং ইশোর
পূর্বদিকের আটলান্টিক অঞ্চল জুড়ে, আবার কেউ কেউ
এগুলোর সাথে মেক্সিকোর উপসাগরকেও যুক্ত করেন।
তবে লিখিত বর্ণনায় যে সাধারণ অঞ্চলের ছবি ফুটে
ওঠে তাতে রয়েছে ফ্লোরিডার আটলান্টিক উপকূল,
পুয়ের্তো রিকো, মধ্য আটলান্টিকে বারমুডার
দ্বীপপূঞ্জ এবং বাহামা ও ফ্লোরিডা স্ট্রেইটস এর
দক্ষিণ সীমানা যেখান ঘটেছে অধিকাংশ দূর্ঘটনা।
ত্রিভূজ গল্পের ইতিহাস:
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বিষয়ে যারা লিখেছেন তাঁদের
মতে ক্রিস্টোফার কলম্বাস সর্বপ্রথম এই ত্রিভুজ
বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা লিখেন। তিনি
লিখেছিলেন যে তাঁর জাহাজের নবিকেরা এ
অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি, আকাশে ধোঁয়া
দেখেছেন। এছাড়া তিনি এখানে কম্পাসের
উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশনার কথাও বর্ণনা করেছেন।
তিনি ১১ই অক্টোবর , ১৪৯২ তে তাঁর লগ বুকে লিখেন –
বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত লগবুক পরীক্ষা করে যে
মত দিয়েছেন তার সারমর্ম হল – নাবিকেরা যে আলো
দেখেছেন তা হল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত নৌকায়
রান্নার কাজে ব্যবহৃত আগুন, আর কম্পাসে সমস্যা সৃষ্টি
হয়েছিল নক্ষত্রের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে। ১৯৫০
সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর ই. ভি. ডব্লিউ. জোন্স ( E.V.W.
Jones) সর্বপ্রথম এ ত্রিভুজ নিয়ে খবরের কাগজে
লিখেন। এর দু বছর পর ফেইট (Fate)ম্যাগাজিনে জর্জ
এক্স. স্যান্ড( George X. Sand) “সী মিস্ট্রি এট আওয়ার
ব্যাক ডোর” ("Sea Mystery At Our Back Door")
শিরোনামে একটি ছোট প্রবন্ধ লিখেন। , এ প্রবন্ধে
তিনি ফ্লাইট নাইনটিন ( ইউ এস নেভী-র পাঁচটি ‘টি বি
এম অ্যাভেন্জার’ বিমানের একটি দল, যা প্রশিক্ষণ
মিশনে গিয়ে নিখোঁজ হয়) এর নিরুদ্দেশের কাহিনী
বর্ণনা করেন এবং তিনিই প্রথম এই অপরিচিত
ত্রিভূজাকার অঞ্চলের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন।
১৯৬২ সালের এপ্রিল মাসে ফ্লাইট নাইনটিন নিয়ে
আমেরিকান লিজান (American Legion) ম্যগাজিনে
লিখা হয়। বলা হয়ে থাকে এই ফ্লাইটের দলপতি কে
নাকি বলতে শোনা গিয়েছে- We don't know where we
are, the water is green, no white। এর অর্থ হল "আমরা
কোথায় আছি জানি না, সবুজ বর্ণের জল, কোথাও
সাদা কিছু নেই"। এতেই প্রথম ফ্লাইট নাইনটিনকে
কোন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার সাথে যুক্ত করা হয়। এরপর
ভিনসেন্ট গডিস (Vincent Gaddis) “প্রাণঘাতী বারমুডা
ট্রায়াঙ্গেল”( The Deadly Bermuda Triangle) নামে আর
এক কাহিনী ফাঁদেন ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
এর উপর ভিত্তি করেই তিনি আরও বিস্তর বর্ণনা
সহকারে লিখেন "ইনভিজিবল হরাইজন" (Invisible
Horizons) মানে “অদৃশ্য দিগন্ত” নামের বই। আরও
অনেক লেখকই নিজ নিজ মনের মাধুরী মিশিয়ে এ
বিষয়ে বই লিখেন, তাঁরা হলেন জন ওয়ালেস স্পেন্সার,
তিনি লিখেন "লিম্বো অফ দ্যা লস্ট" (Limbo of the
Lost, 1969, repr. 1973), মানে “বিস্মৃত অন্তর্ধান”
চার্লস বার্লিটজ (Charles Berlitz) লিখেন “দি বারমুডা
ট্রায়াঙ্গেল”(The Bermuda Triangle, 1974), ; রিচার্ড
উইনার লিখেন "দ্যা ডেভিল'স ট্রায়াঙ্গেল"
“শয়তানের ত্রিভূজ” (The Devil's Triangle, 1974) নামের
বই, , এছাড়া আরও অনেকেই লিখেছেন। এরা সবাই
ঘুরেফিরে একার্ট ( Eckert)