AdnanSumon

Call

না এতে কোনো কল্যান হবে না। কারণ ইসলামে গান বাজনাকে হারাম বলা হয়েছে। অার হারাম কজে কখনোই কল্যান হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মোটেও না ।কারণ যখন কোন মানুষের আত্না আল্লাহ পাকের কাছে চলে যায়।তখন তার কাছে দুনিয়ার সুখ-দুঃখ ,আচার -অনুষ্ঠান বা সুন্দর পৃথিবী কোন কিছুর মূল্য থাকে না ।বরং সে তো তার গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করতে থাকে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই এতে খুশি তো দুরের কথা এতে তাদের আরো কষ্ট হয়। আর এতে কোন কল্যান নেই। এগুলো মানুষের তৈরি করা খারাপ কাজ। যদি ভাল হতো তাহলে আমাদের নবী এর কবরের পাশে এগুলো হতে। যারা এগুলো করে এরা খারাপ করছে এবং শিরক করছে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

প্রথমকথা হলো,গান-বাজনার ব্যাবসাও গান-বাজনা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম!গান-বাজনার দ্বারা যে মানুষের কোন কল্যাণ হয়না,বরং ক্ষতি এবং অন্তরে নাপাকি সৃষ্টি করে এব্যাপারে হাদিসে এসেছে -হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, পানি যেমন (ভূমিতে) তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৩; তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২

গান-বাজনা হারাম প্রসঙ্গে হাদিসের ভাষ্য-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন।-সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮

সুতরাং -যে জিনিসটি শরীয়তে হারামও গোনাহের সেটা দিয়ে কখনো কল্যাণের আশা করা যায় না৷ এটা আরো মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে কথিত পীর-আওলিয়াদের মাজারে করার দ্বারা৷অতএব,এসব জগণ্য কাজ কখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না৷ 

আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের শিরকি কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পীর পূজা, মাজার পূজা। মাজারে গিয়ে কবরবাসীর কাছে কিছু কামনা করা। কবরবাসী কিংবা জীবিত কোনো পীরের উদ্দেশ্যে সিজদা করা। তাদের নামে জিকির করা। মৃতব্যক্তি কবরে শুয়ে মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক এবং ইহজগতের বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বলে বিশ্বাস করা। কবরবাসীর নামে মানত করা। জীবিত পীর বা মাজারের নামে কোরবানি করা। কোনো পীর, ফকির, দরবেশকে বিপদ প্রতিহত করতে সম কিংবা কোনো কল্যাণ এনে দিতে সম বলে মনে করা। তাদের আল্লাহর রহমত বণ্টনের অধিকারী মনে করা ইত্যাদি শিরকি কর্মকাণ্ড। ঈমান বাঁচাতে হলে এসব কর্মকাণ্ড থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে। এগুলো এমন পর্যায়ের শিরক, যা একজন মুমিন মুসলমানকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। তাওবা না করে মারা গেলে চিরস্থায়ী জাহান্নামে অবস্থান করবে।

রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না? আমরা (সাহাবিগণ) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলে দিন। তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া’ (বুখারি ও মুসলিম)।

উলামায়ে কেরাম বলেন, মানুষ এ ধরনের মাজারে যায় তাদের ঈমান নিয়ে, আর সেখান থেকে ফিরে আসে অবচেতন মনে মূল্যবান ঈমান বিকিয়ে। কারণ সেখানে যাওয়ার আগে তার ঈমান ঠিকই ছিল; কিন্তু সেখানে গিয়ে বিভিন্ন শিরকি কাজ করে মুশরিক হয়ে ফিরে আসে।

সুতরাং-এসবে কোন কল্যাণ নেই। 

দ্বিতীয় কথা হলো-পীর-মুরশিদরা এসবে খুশি কি না?

পীর দু'প্রকার-কিছু জিন্দাও ভন্ড পীর৷ 

আর কিছু মৃত হক্কানি অথবা জীবিত থাকতেও ভন্ড ছিলো৷ 

প্রথম প্রকার পীর যারা জীবিত/জিন্দা তারা খুশি হতে পারে৷ কারণ তাদের পেটপুজা হয়৷ 

দ্বিতীয় প্রকার যারা তারা এসম্পর্কে কিছু ই অবগত নয়৷ যদি তারা জানতে পারতো তাহলে তারা দুনিয়াতে আসতে পারলে এসব মুরিদদের জিন্দা জ্বালিয়ে দিতো৷ কারণ,যারা এসব জীবিত থাকতে রেখে গেছে তাদের কবরে গোনাহ যাচ্ছে, এবং কঠিন মাইর এর সম্মুখীন হচ্ছে৷ 

বাকি আল্লাহ সর্বজ্ঞানী৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ