ছোট বেলায় আমার এই সমস্যা ছিল। এটা আসলে আপনার সারাদিনের চিন্তা কাজের উপর নির্ভর করে। আপনি সারাদিন যে কাজ গুলো করেন আপনার মাথার মধ্যে সেগুলো ঘুরপাক খায়। যার কারণে আপনি সেগুলো ভাবতে থাকেন এবং সেগুলোর উপর স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নের কথা গুলোই আপনি মুখে উচ্চারণ করেন। যেমন স্বপ্নে হিশু করলে ছোট বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখতাম সত্যি সত্যি বিছানায় হিশু করে ফেলেছি।
আমার মা বলত আমি নাকি ছোট বেলায়, ঘুমের মধ্যে বিভিন্ন কথা বার্তা (পড়াশুনা) ইত্যাদি বলে থাকতাম । কিন্তূ এগুলো মা বললেও আমি বিশ্বাস করতাম না । আমার মার বলা কথাগুলো শুনে আমি বুঝতে পারতাম যেগুলো ঘুমের মধ্যে বলে থাকতাম সেগুলো আমার প্রতিদিনের অভ্যাসের বহিপ্রকাশ মাত্র । তিনি(মা) আমাকে বলত যে প্রতিদিন ওজুর সহিত এবং ইশার নামাজ পড়ে ঘুমাতে । আলহামদুলিল্লাহ্ এতে আস্তে আস্তে আমার ঐ অভ্যাস দুর হয়ে গেছে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা কারণে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে। এর মধ্যে অনিদ্রা, জ্বর বা অসুস্থতা, অত্যাধিক মদ্যপান, মানসিক চাপ , দুশ্চিন্তা, অবসাদ, দিনের বেলাতেও ঝিমানোভাব, বিশেষ ওষুধ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ঘুমের মধ্যে কথা বলা এড়ানোর বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন- ১. সাধারণত ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা উচিত। এক্ষেত্রে অবশ্য নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম মানে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। যত কম ঘুম হবে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে। ২. মদ্যপান বা ক্যাফাইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষের ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়ে। এ কারণে ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ৩. মানসিক উদ্বেগের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। এ কারণে মনের চাপ কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা, মেডিটেশন, গান শোনা এইসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। (এক্ষেত্রে অধিক কার্যকর হলো মেডিটেশন) ৪. অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য ঘুম হয় না। এর জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিত্সা নেওয়া উচিত। কারণ ঘুম না হলে বা কম ঘুম হলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বেড়ে যাবে, শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। তথ্য সাহায্য- এনডিটিভি