আমি যখনই পড়তে বসি তখনি যত দেশের চিন্তা আমার মাথায় চেপে বসে । এর থেকে পরিত্রান পেয়ে পড়ায় মনোযোগ স্থির করার কি কোন উপায় জানা আছে ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পড়াশোনায় মনোযোগী হবার ১০টি উপায়


‘পড়াশোনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’- ছোটবেলা থেকেই এই প্রবাদ শুনিয়ে শুনিয়ে বাবা মা আমদের শুধু পড়তে বসাত। কিন্তু, সমস্যা আমাদের সবারই একই জায়গায়, পড়তে বসলেই মাথায় আসে যত ধরনের চিন্তা। মনোযোগ যে কোথায় গায়েব হয়ে যায় কে জানে! পড়ায় মনোযোগ থাকলে যেটা একবার পড়লেই হয়, মনোযোগ না থাকলে সারাদিন পড়েও লাভ নেই। পড়াশোনায় মনোযোগী হবার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হল ঃ


০১অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোন বন্ধ করে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫ মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন।

০২. শিক্ষকতাঃ
আপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা থাকবে বিষয়টির উপর।

০৩. ইন্দ্রিয় সক্রিয়ঃ
আপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি একটি বিষয় যতই পড়ুন না কেন সারাদিন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তা মনে রাখতে পারবেন না অথবা বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি বিষয়টি আপনার চারপাশের কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছেন। চারপাশের জিনিসের সাথে আপনি আহরণ করা জ্ঞান মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন।

০৪. সংযোগঃ
প্রত্যেকটি বিষয়, ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি আরেকটির সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের পরিধিও অনেক বাড়বে।

০৫. নতুন ধারণা ও পরিচিত ধারণার মাঝে সংযোগঃ
আপনি যখন নতুন কোন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে জানবেন তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত কোন জানা তথ্য বা ধারণার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় আপনার সে নতুন তথ্য ভুলে যাবার আশঙ্কা কম থাকে।

০৬. মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেয়াঃ
পরীক্ষার আগে কিছুদিন পড়লে আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প পড়ার মাঝে থাকবেন। এতে করে আপনার উপর কোন মানসিক চাপও থাকবেনা আর আপনি পরীক্ষার আগে একটু রিভিশন দিলেই আপনার হয়ে যাবে।

০৭. তথ্যের ধরনঃ
পড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন- যে তথ্য দেয়া আছে সেটা কি গাণিতিক তথ্য, নাকি ঐতিহাসিক কোন তথ্য, নাকি কোন ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য এসব বিষয়ে ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্ত করতে হবে। না বুঝে মুখস্ত করলে তা কোনদিন মনে থাকবেনা।

০৮. সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিতঃ
সব সময় পুস্তকি বিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত করলে হবেনা। অন্যান্য বিভিন্ন বই থেকে আহরিত জ্ঞানের সাথেও সম্পৃক্ত করতে হবে। সেজন্য দেশ ও দেশের বাইরের অনেক লেখকের বই পড়ার অভ্যাস সব সময় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা যায় আর নিজের জ্ঞানের ভিত্তিটা অনেক মজবুত ও শক্ত করে গড়ে তোলা যায় যাকে ভিত হিসেবে ধরে আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

০৯. নিজস্ব রীতিঃ
যখন কোন বিষয় পড়বেন তখন নিজের একটা আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন আর বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে।

১০. নোটঃ
আপনার পড়ার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেটাকে বুঝে জ্ঞান আহরণ করা আর পরীক্ষায় ভালো করা। কিন্তু আপনি যদি নাই বোঝেন তাহলে ভালো করার প্রশ্নই আসেনা। তাই যে বিষয়টি বুঝবেন না তার পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে, করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্ত করে সেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা কোন ছাত্রের পক্ষেই সম্ভব নয়।


উপরোক্ত ১০টি উপায় মেনে চললে আপনি খুব মনোযোগের সাথে লেখাপড়া করতে পারবেন আশা করি আর আপনার পরীক্ষায়ও আশানুরূপ ফল প্রদানে এটি সহায়ক হবে। বর্তমান যুগে জ্ঞান আহরণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। প্রতিযোগীতার এই যুগে আপনার কাছে যত জ্ঞান থাকবে তাই একসময় আপনার সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার যখন এ জাতীয় চিন্তা আসবে তখন পড়া বন্ধ করে দিবেন। খানিকক্ষণ হেঁটে আসবেন। হেঁটে এসে তারপরে আবার পড়তে বসবেন।  আর পড়ার রুমে অপ্রয়োজনীয় মনোযোগ টেনে নেয় এরকম কিছু রাখবেন না। মোবাইল, ল্যাপটপ দূরে রাখবেন। আশেপাশে কেউ টিভি দেখলে তাকে বন্ধ করে দিতে বলবেন। আর বই বা খেলার কিছুও রাখবেন না।  পড়ার সময় মুখে একটা চুইংগাম নিয়ে চিবোতে লাগবেন। চুইংগাম না পেলে লেবু বা আদা। তাহলে চিবোনোর কারণে যা করছেন।তাতে মনোযোগ আসবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Rony02021

Call

আমরা অনেকেই ভাবি কাল থেকে পড়াশোনা শুরু করব কিন্তু সেই কাল আর আসে না।পড়ার টেবিলে বসতেই মন চাই না।আর পড়ার টেবিলে বসলেও তা বেশীক্ষন ধরে রাখতে পারি না।এই অবস্থায় আমাদের কি করা উচিত। 

১.আপনাকে জোর করে হলেও প্রতিদিন পড়ার টেবিলে বসতে হবে।

 ২.এরপর আপনাকে পড়ার প্রতি ভালোলাগা তৈরি করতে হবে। এইজন্য আপনি আপনার পছন্দের বিভিন্ন বই পড়তে পারেন।হতে পারে সেটা গল্পের বই কিংবা অন্য কোন বই।

 ৩.আপনাকে প্রতিনিয়ত এই অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। 

৪.ওভাবে ১০ দিন করার পর আপনার প্রাতিষ্ঠানিক বইগুলোর মধ্য থেকে যেটা প্রিয় এবং পড়তে ভালোলাগে সেইটা পড়বেন। 

৫.আর আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আজ পড়ার টেবিলে যেটুকু সময় দিলেন কাল তার থেকে ১০ মিনিট হলেও বেশী সময় দিতে হবে।

 ৬.আপনার,আপনার পরিবারের আপনাকে নিয়ে যে স্বপ্ন আছে সেটা বাস্তাবায়ন করার কথা সবসময় ভাবতে হবে। 

৭.একটানা ৩ দিন এভাবে চলার পর ভাবলেন আজ আর পড়ব না আবার কাল থেকে পড়ব তাহলে সেই আপনার সেই আগামীকাল,কাল হয়েই থাকবে।মোদ্দাকথা আপনাকে পড়ার ধারা বজায় রাখতে হবে। 

.সর্বশেষ কথা হলো কাল থেকে না আজ থেকেই শুরু করেন হোক সেটা ১০ মিনিট।আর চিন্তা করেন আপনি কেন বই পড়বেন যদি কারন খুজে না পান তাহলে পড়াশোনা করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে যেভাবে জীবন কাটাচ্ছেন সেভাবে কাটান। Best Of Luck,,,,,

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ