মেরাজে গমনের সময় রাসুল মুসা আ: কবরে নামাজরত অবস্থায় দেখছেন..এটা কুরআান ও হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা চাইছিলাম


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইবনু হারব (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে মিরাজের রাত্রে একটি লাল টিলার নিকট মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে যাওয়া হল। তিনি তখন তার কবরে দাড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ১৬৩৪) অন্য হাদিসে এসেছে, আহমাদ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ফাযালা ইবনু উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে তার আমলের পরিসমাপ্তি হয়। (সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৬২৭ সংক্ষিপ্ত) নবী রাসুলেরাও মানুষ ছিলেন তবে আমাদের মত সাধারণ মানুষ না। তারা দুনিয়া থেকে মৃত কিন্ত তারা কবরে জীবিত এটা আমাদের আকিদাগত বিশ্বাষ। কিন্ত কেন তারা কবরে সালাত আদায় করে এটা আমারো প্রশ্ন? তাদেরতো আমলের আর দরকার নেই। মিরাজ রজনী হতে ফেরার পথে রাসুল (সাঃ) এর সাথে মুসা (আঃ) এর সাক্ষাত লাভ। তিনি বলেন, আমি ফিরিবার পথে মুসা (আঃ) এর নিকটবর্তী পথ অতিক্রম করা কালে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, বিশেষ আদেশ কী লাভ করিয়াছেন? আমি বলিলাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ। মুসা (আঃ) বলিলেন, আপনার উম্মত প্রতিদিন পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করিয়া যাইতে সক্ষম হইবেনা। আমি, সাধারণ মানুষের স্বভাব সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করিয়াছি এবং বণী ইসরাঈল গণকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করিয়েছি, সুতরাং আপনি পরওয়ারদেগারের দরবারে আপনার উম্মতের জন্য এই আদেশ আরও সহজ করার আবেদন করুন। হযরত (সাঃ) বলেন, আমি পরওয়ারদেগারের খাস দরবারে ফিরিয়া গেলাম। পরওয়ারদেগার দুইবারে পাঁচ পাঁচ করিয়া দশ ওয়াক্ত কম করিয়া দিলেন। অতঃপর আমি আবার মূসার নিকট পৌছালাম, তিনি পূর্বের ন্যায় পরামর্শই আমাকে দিলেন। আমি, পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরিয়া গেলাম এইবারও ঐরূপ দশ ওয়াক্ত কম করিয়া দিলেন। পুনরায় মূসার নিকট পৌছিলে তিনি আমাকে এইবারও সেই পরামর্শই দিলেন। আমি পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরিয়া গেলাম এবং পূর্বের ন্যায় দশ ওয়াক্ত কম করিয়া দিলেন । এই বারও মূসা (আঃ) এর নিকট পৌছিলে পর তিনি আমাকে পূর্বের ন্যায় পরামর্শ দিলেন। আমি পরওয়ারদেগারের দরবারে ফিরিয়া গেলাম, এইবার আমার জন্য প্রতি দিন পাঁচ ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হইল । এইবারও মূসার নিকট পৌছিলে পর আমাকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, কি আদেশ লাভ করিয়াছেন? আমি বলিলাম, প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ প্রদান করা হইয়াছে। মূসা (আঃ) বলিলেন, আপনার উম্মত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেরও পাবন্দী করিতে পারিবে না। কিন্ত সালাত আদায় কালে কথা বলা নিষেধ তাহলে সেই সময় কেন তিনি কথা বললেন? আমিও জানতে আগ্রহী। [আমার উত্তর ভুল হতে পারে তাই সঠিক রেফারেন্স যুক্ত উত্তর না আসা পর্যন্ত উত্তর রাখার অনুরোধ রইল]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ