জ্বিন কে বশে আনা অতোটা সহজ নয়। আপনি যখন জ্বিন সাধনা করবেন তখন যদি গুরু (যার কাছে থেকে আপনি জ্বিনকে বশে আনার মন্ত্র শিখবেন তার) কথা অমান্য করেন বা নিয়মনীতি ভুল করেন তবে জ্বিন আপনার ক্ষতি করতে পারে হতে পারে তা আপনার শারিরিক ক্ষতি, মানুষিক ক্ষতি কিংবা সাংসারিক ক্ষতি। তাই ঝোঁকের বশে এমন সিদ্ধান্ত কখনো নিবেন না যাতে করে আপনাকে বাকি দিন গুলোতে তার খেসারত দিতে হয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের যাদু মন্ত্রকে নিশিদ্ধ জাদু বলে। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেগ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া ও গণক জোতিষিদের কথা বিশ্বাস করা হারাম ও কবিরা গুনাহ্।
এতো গুলো কথার বললাম, তার পরেও যদি আপনার মনে ভয় ভিতি না জন্মায় তবে আপনি নিজে নিজেই "আস-সারেম আল-বাত্তার লিস সাহরাতে ওয়াল আশরার" এবং "জিন ও যাদু" - এই দুটি বই পড়ে যাদুর নিয়ম নীতি গুলো শিখতে পারেন। তবে একটি কথা, আপনি যখন এ নিয়ম গুলো পড়ার পর প্রয়োগ করবেন তখন যদি হিতে বিপরীত হয় তাহলে কিন্তু আমি মাসুদ রানা সাগর সহ বিশ্ময় আনসারস পরিবারের কেউ দ্বায়ী নই। ধন্যবাদ
আপনি যদি জ্বীনের সাথে কথা বলতে চান তাহলে আপনাকে একটা নির্জন জায়গা বেছে নিতে হবে। তারপর একনাগারে ৪০ দিন একই সময়ে সূরা জ্বীন আমল করতে হবে। তাহলেই আপনি জ্বীনের সাথে কথা বলতে পারবেন। কিন্তু শর্ত হচ্ছে আপনাকে সাহসী হতে হবে। জ্বীন ডাকার পর যদি আপনি তাকে দেখে ভয় পান তাহলে জ্বীন আপনার ক্ষতি করতে পারে। এমনকি আপনাকে মেরেও ফেলতে পারে। তাই জ্বীন দেখার ইচ্ছে থেকে বিরত থাকাই উওম।