শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

শাশুড়ীর পরিবার সম্পর্কে জানুন।শাশুড়ীকে মায়ের চোখে দেখুন।প্রথমত একটু কষ্ট লাগবে পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।যে কাজটি করলে শাশুড়ি খুশি হবে সে কাজগুলো করুন।তার আদেশকে ফলো করুন।তাহলে আশা করি অল্প দিনেই তার মন জয় করতে পেরেছেন।

এছাড়াও নিচের টিপস গুলো ফলো করে দেখতে পারেন..

১। তর্ক করবেন না শাশুড়ির সাথে কখনও তর্ক করতে যাবেন না। হয়তোবা তিনি ভুল বলছেন। কিন্তু তার সাথে তর্ক না করে সেটা তাকে বুঝিয়ে বলুন। এমনকি আপনার স্বামীর বিষয় নিয়েও তার সাথে তর্ক করতে যাবেন না। এতে আপনাদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হবে।

২। শাশুড়িকে সাহায্য করুন রান্নাঘর, ঘরের কাজে অথবা যে কাজে আপনার শাশুড়ির সাহায্যকারীর প্রয়োজন সেখানে তাকে সাহায্য করুন। সে যদি আপনাকে কাজের কথা না বলেও তাকে সাহায্য করুন। এতে তিনি আপনার ওপর খুশি হবেন। আর খুব সহজে আপনি আপনার শাশুড়ির মন জয় করতে পারবেন।

৩। উপহার দিন আপনাকে যদি কেউ উপহার দেয় আপনি কি খুশি হবেন না? হবেন নিশ্চয়। আপনার শাশুড়িও তার ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন উৎসব অথবা উৎসব ছাড়া আপনার শাশুড়িকে উপাহার দিন। এতে তিনি বুঝবেন আপনি তার পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানেন। এতে তিনি খুশি হবেন।

৪। শাশুড়ির প্রশংসা করুনপ্রশংসা শুনতে প্রতিটি মানুষ পছন্দ করে। আপনি আপনার শাশুড়ির প্রশংসা করুন। তার রান্নার, তার পছন্দের, এমনকি তার পোশাকও হতে পারে আপনার প্রশংসার বিষয়বস্তু।

৫। শাশুড়ির পরামর্শ নিনআপনি কোন সমস্যায় পড়েছেন? কি করবেন বুঝতে পারছেন না? আপনার শাশুড়ির পরামর্শনিন। উনি অভিজ্ঞ মানুষ, তিনি সমস্যা বুঝে পরামর্শ দিবেন। তার পরামর্শ আপনার উপকারে আসবে। আর এতে উনি অনেক খুশিও হবেন।

৬। মার্জিত পোশাক পরুন আপনার শাশুড়ি যেমন পোশাকে আপনাকে দেখতে চায় তেমন পোশাক পরার চেষ্টা করুন। হয়তো আপনি সেটা পরতে অভ্যস্ত হবেন না। তবুও মাঝে মাঝে তার পছন্দের পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এতে তিনি খুশি হবে এবং বুঝবেন উনার পছন্দের মূল্য আপনার কাছে আছে।

৭। ৭। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাআপনার স্বামী যদি আপানার শাশুড়ির রান্না পছন্দ করে সেটা নিয়ে রাগ করবেন না। বরং আপনি আপনার শাশুড়ির প্রশংসা করুন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শশুর শাশুড়িরর মন জয় করতে হলে নিচের কাজগুলো করে তাদের মন জয় করতে পারে প্রথমত তাদের সেবা করতে হবে,তাদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে,তাদেরকে যথেষ্ট সন্মান দিতে হবে। সবসময় তাদের খোঁজখবর নিতে হবে এই ধরুন ঔষুধ খেয়েছে কিনা,না খেলে খাইয়ে দিবেন,খাওয়া খেয়েছে কিনা। তাদের অন্যান্য ছেলেমেয়ের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করবেন। এছাড়া কিছু টিপস:- ১. মনোমালিন্যের উৎসই যে জায়গাটা থেকে সেখানেই হোন বেশ সচেতন। রান্নাঘর- চেষ্টা করুন একটু গুছিয়ে ও পরিষ্কার রাখতে। দৈনন্দিন কাজে শাশুড়িকে সাহায্যের পাশাপাশি গোপনে তার কিছু প্রিয় খাবার বানিয়ে তাকে চমকে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে স্বামীর সাহায্যো নিতে পারেন। ২. প্রতিটি শাশুড়িই চায় তার পুত্রবধু ঠিক তারই মত করে সংসারটাকে আগলে রাখুক। চায় ঘরের বউ যেনো হয় ঠিক তারই প্রতিচ্ছবি। ৩. পোশাক পরিচ্ছদের ব্যপারে সচেতন থাকুন । নিজের পছন্দের পোশাক পরিধানের ব্যপারেও মার্জিত থাকুন।মাঝে মধ্যে শাশুড়ির পছন্দের পোষাক পরুন। ৪. শাশুড়ির পছন্দ জেনে নিয়ে তাকে মাঝে মধ্যেই কিছু উপহার দিন। ৫. শাশুড়ির সাথে আচরণে সচেতন হোন। মেজাজ খারাপ করে কখনো তাঁর সাথে কথা বলবেন না। তার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করুন। নিজের মায়ের মত তাকেও সম্মান করুন। শাশুড়িকে মা, আম্মা বলে ডাকার আগে আন্তরিকতা বিষয়টাকে গুরত্ব দিন। তার কোন ভূল হলে তা সাথে সাথে না বলে ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। ৬. সব সময় শাশুড়ির শারিরীক অবস্থার খেয়াল রাখুন। তাকে জিজ্ঞাসা করুন- তার কি প্রয়োজন। তাকে মায়ের মত সেবা করুন। শরীর খারাপ হলে পাশে থেকে সেবা করুন। এমনকি তার খাবারের ক্ষেত্রেও আপনি পরামর্শ দিতে পারেন। তবে কোন ক্ষেত্রেই তা যেনো ভুল বোঝাবুঝিতে না পৌঁছায় সে ভাষায় বলার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, আপনি যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে ঠিক তাঁর মনের মত করে কথা বলেন, সেবা করেন, সম্মান করেন তবে আপনিও তার কাছ থেকে ঠিক সেরকমই আচরণই পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ