নিজের লেখপড়ার ওপর বেশী জোর দিতে চাই, আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক, আমার স্বপন বুয়েটে চান্স পাওয়া, এইবার এস.এস.সি তে আমি গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছি, এখন প্রশ্ন কিভাবে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে? আমার মতো পরিবার থেকে কি এটা সম্ভব!?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

(১) প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কেন আপনি পড়ছেন। যখন আপনি বুঝবেন, এই পড়াটা ভালোভাবে করার মাধ্যমেই আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন এবং আপনার পক্ষে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তখনই আপনি আগ্রহী হবেন। আর আগ্রহ থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ এমনিতেই আসে। অর্থাৎ আপনাকে জানতে হবে যে, কেন এই কাজটা গুরুত্বপূর্ণ। ২) মনোযোগের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দ। পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী।তাহলে দেখবেন আপনার সমস্ত মনযোগ ঐ পড়াটুকু কমপ্লিট করাতে নিবদ্ধ হবে। (৩) বিষয়ের বৈচিত্র রাখুন। ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন সাব্জেট পরুন।একঘেঁয়েমি আসবে না। নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন। রং বেরঙ্গের পেন দিয়ে বই দাগানোর অভ্যাস করতে পারেন,এটিও পড়াকে আনন্দঘন করে তুলতে সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যেহেতু বুয়েটে চান্স নেয়ার ইচ্ছে সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতি গভীর ভালবাসা তৈরি করতে হবে।নিজের সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার করতে হবে।নিজেকেই বুঝতে হবে বিজ্ঞানের ঠিক কোন বিষয়টি পড়তে বেশি ভালো লাগে এবং সহজেই বুঝে আয়ত্ত করা যায়।যেহেতু ইন্টারনেট সংযোগ আছে কাজেই বিজ্ঞান সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও তথ্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে।এভাবে এগিয়ে গেলে আশা করা যায় সফলতা আসবে!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

একটা কথা আছে "বাঁচতে হলে জানতে হবে"। আর এই জানতে হলে পড়াশুনা করতে হবে।তা হলে আপনার স্বপ্ন বাস্তোবান হবে।।এবার আসি আপনার ইচ্ছায়, আপনার ইচ্ছে হয়েছে আপনি পড়তে বসবেন, কিন্তু কোনোভাবেই বসতে পারেননা। এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার সেটা হলো আপনি টেবিলে পড়ার উদ্দেশ্যে বসেন কিনা। যদি বসেন তবে? আপনি পড়ার উদ্দেশ্যে বসলেন, বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছেন কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে, এখন যেহেতু পড়তে বসেছেন তো দরকারটা হলো আপনি মনোযোগ দিতে পারছেন কি না। মনোযোগ যেটাকে ইংরেজিতে বলে কনসানট্রেশন। মনোযোগ দেয়াটা খুবএকটা কঠিন কাজ নয়। সত্যিকথা বলতে গেলে, যেকোনোকিছুর জন্য সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হলো অভ্যাস। আর একটা অভ্যাস তৈরি হয় ২১ দিনে। আর বিশেষজ্ঞদের মতে একটানা ৪০ মিনিটের বেশি ব্রেইন কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারেনা। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো মনোযোগ দেয়ার অভ্যাস। অবাক হলেন নাকি, এটা কঠিন কিছু নয়। একটা উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি...... আপনি ১-১০০ পর্যন্ত গুনবেন সিরিয়ালভাবে গুনে শেষ করে এবার চেষ্টা করুন ১০০-১ পর্যন্ত উল্টাভাবে। খেয়াল করবেন যেনো ভুল না হয়। আপনি যখন গুনবেন তখন আপনার মনোযোগ গোনার দিকে যাবে। আর এভাবেই পড়ার প্রতিও আপনি মনোযোগ দিতে পারেন। তবে একটা বিষয় আপনি মনে রাখবেন সেটা হলো আপনার ইচ্ছাটা যেনো অটুট থাকে। আশা কররি আপনার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আপনাকে অভীষ্ট লক্ষে পৌছতে সাহায্য করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ