সাঁতার শেখার নিয়মঃ
১. নাক সহ মাথা পানিতে ডুবিয়ে সাঁতার কাটতে হবে।
২. যে কেউ চাইলে ৩০ সেকেন্ড দম বন্ধ রাখতে পারেন, আর ৩ সেকেন্ডে বুক ফুলিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। তারমানে, মিনিটে ২ বার নিঃশ্বাস নিলেই হলো।
৩. যতক্ষণ দম বন্ধ থাকে, ততক্ষণ মানুষ কোন চেষ্টা ছাড়াই পানিতে ভেসে থাকতে পারে, হাত পা নাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। এ কথাটা মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে।
৪. ৩০ সেকেন্ড পর নিশ্বাস নেবার প্রয়োজন হলে শুধু সেই সময়ে হাত নেড়ে পানিতে মৃদু ধাক্কা দিয়ে ঘাড় কাত করে, মাথার বেশীর ভাগটা পানির নিচে থাকা অবস্থায়, ঠোট দুটো শুধু পানির উপরে এনে নিশ্বাস নিতে হবে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিশ্বাস নিয়েই আবার মাথাকে পানির মধ্যে ডুবিয়ে ফেলতে হবে। এই নিশ্বাস নেবার টেকনিকটা প্র্যাকটিস করতে হবে। কোন সাঁতারু/ ট্রেইনার এর সাহায্য নিতে হবে। এই টেকনিক টুকু আয়ত্তে আসলেই সাতার শেখা শেষ।
৫. সাঁতার কাঁটা অবস্থায় এগিয়ে যাবার জন্য হাত ও পা দুটোই একসাথে ব্যবহার করতে হবে। পায়ের টেকনিকটা জরুরী। পা ডুবে থাকলে শরীর বাঁকা হয়ে পানির সাথে বাঁধা তৈরি করে, এবং সামনে আগানোর গতি কম হয়। তবে এটাও দুই/তিন সপ্তাহ প্র্যাকটিস করলে আয়ত্তে আনা সম্ভব।
৬. পানিতে মাথা ডোবানো অবস্থায় মানুষ আতঙ্ক বোধ করতে থাকে, তাতে দ্রুত দম ফুরিয়ে যায়। নিজেকে সাজেশন দিয়ে আতঙ্ক দূর করতে হবে। তাহলে ঘন ঘন দম নিতে হবে না।
৭. সাঁতারের চশমা থাকলে ভালো হয়। যে কোন পানিতে ট্রাভেলে যাওয়ার সময় ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে একটা চশমা কিনে নিতে হবে।
৮. পুরোপুরি সাঁতার শেখার আগে কেউ সাগর বা নদীতে নামতে চাইলে, প্লাস্টিকের লাইফ জ্যাকেট কিনে নেওয়া ভাল। কয়েকশত টাকার মধ্যেই লাইক জ্যাকেট কিনতে পারবেন।