বিতর্কিত বিষয় এটি। বিজ্ঞানধর্মী দৃষ্টি কোন থেকে বিচার করলে এর কোনো ব্যাখ্যা/ভিত্তি নেই। একে অনেকেই হাতের কারসাজি/চোখে ধাধা লাগানোর কলা-কৌশল বলে।
তবে একবার ডিস্কোভারি চ্যানেলে এই বিষয়ে একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম। ইন্ডিয়ার কোন এক অঞ্চলে নাকি এসবের চর্চা করা হয়,তাদের মতে পিচাশ দেবতার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে বিপুল ক্ষমতার অধিকারি হওয়া যায়।
ইসলাম ধর্মের মতে,মহান আল্লাহ তা'আলা বিভিন্ন সময় নবীদের মুজিযা/বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন।তবে সেটা ব্ল্যাক ম্যাজিক নয়,কারণ সেই ক্ষমতার কোনো অপব্যবহার করা হত না। যেমনঃ ঈসা (আঃ) তার হাতের ছোয়াতে কুষ্ঠ রোগ দূর করতে পারতেন। সুলাইমান (আঃ) জ্বীনদের দিয়ে কাজ করাতে পারতেন।
মূলত ব্ল্যাক ম্যাজিক হল কোন বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে কারও অনিষ্ট করা।
এটা শয়তানের আরাধনার মাধ্যমেই হয়। কিন্তু এটাও আল্লার শক্তি।
অনেক বছর আগে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করার জন্য দুই জন ফেরেশতা পৃথিবীতে পাঠিইয়েছিল। তারা এই জাদু সিক্ষা দিত।
কিন্তু তারা আগেই বলে নিত যে এই সিক্ষা যে করবে সেই জাহান্নামি হবে। অর্থাৎ আল্লাই এটার পথ দেখিয়েছে, কিন্তু আল্লাই এটা শিক্ষা করতে বারণ করেছে। এটা আল্লার একটি পরীক্ষা। এটা যে সত্যি তার প্রমান আমাদের শেষ নবীর উপরেও এক মহিলা জাদু করেছিল।