সরকারি চাকরিতে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হয়ে থাকে টাইপিং টেস্টের জন্য ? কোনো সফটওয়্যার বা অনলাইন সাইটে টেস্ট নেয়া হয় নাকি এমএসওয়ার্ড অ্যাপ্লিকেশনেই নেওয়া হয় ? আর এমএসওয়ার্ড অ্যাপ্লিকেশনে নেওয়া হলে এর জন্য কি কোনো প্যাপার দেওয়া হয় নাকি নিজের ইচ্ছামতো যা খুশি তাই লিখতে বলা হয় ?image


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call


কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে টাইপিং টেস্ট কিভাবে নেয় how to computer typing apitued test



যাহাদের শুধুমাত্র কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট বা কম্পিউটার টাইপিস্ট পদ তাদের শূধু মাত্র

টাইপ টেস্ট নেওয়া হয়। অন্য কোন টেস্ট যেমন পরিচালনা, ফাংশ, রিপোর্ট বা এক্সেল শীট ইত্যাদি করতে দেওয়া হয়না।

টেস্টে যা থাকেঃ মূলত আপনাকে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে যাতে বাংলা ও ইংলিশ দুটি ছোট রচনা থাকে।
টেস্ট হয় ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট করে। বিভিন্ন দপ্তর ভেদে ৫ বা দশ মিনিট নেয়। ৫ মিনিট বলতে ৫ মিনিট ইংলিশ ও ৫ মিনিট বাংলা টাইপ করতে হবে। সময় তারা মুখে বলবে। শুরু করতে বললেই লেখা শুরু এবং বন্ধ করতে বললেই লেখা বন্ধ করতে হবে। ১০ মিনিটের ক্ষেত্র একই, এক্ষেত্রে শুধু বাংলা ১০ মিনিট ও ইংলিশ ১০ মিনিট মোট ২০ মিনিট টাইপ করতে হয়।
প্রশ্নে শব্দ গুলো একেবারে সহজ থাকেনা। যুক্তবর্ণ সহ সকল প্রকার বানান রীতির শব্দ থাকে।

যেভাবে শুরু করবেনঃ
ওরা নির্দেশনা দিয়া দেবে। আপনাকে প্রথমে ডেস্কটপের উপর একটি ওয়ার্ডফাইল খুলতে হবে এবং ওয়ার্ডফাইলটির নাম দিতে হবে আপনার রোল নাম্বার। মনে রাখবেন ফোল্ডার নয়, ফাইল। যদি কোন দপ্তর ফোল্ডার খুলতে বলে তবে তা করতে হবে। কিন্তু কোথাও বলেনা। বরং নিজে থেকে ফোল্ডার করলে আপনাকে ফেইল করিয়ে দিতে পারে।
এবার ফাইলটি ওফেন করে রেডি হয়ে বসে থাকতে হবে। ওরা টাইপ শুরু করতে বললেই প্রথমে নাম , পদের নাম, ও রোল নাম্বার লিখতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি মূল সময়ের সাথে যুক্ত। অর্থাৎ এর জন্য আলাদা সময় দেওয়া হবেনা। খুব কম ক্ষেত্রে ওরা আগে লিখে রাখতে বলে। তবে এটি আশা না করাই ভাল।
এবার প্রশ্ন অনুযায়ী টাইপ শুরু করতে হবে। এখানে আগে বাংলা টাইপ করবেন নাকি আগে ইংলিশ সেটা আপনার ব্যাপার। কোন সমস্যা নাই তবে সময় শেষ হলেই লেখা বন্ধ করতে হবে। মনে রাখবেন বাংলা ইংলিশ মিলিয়ে কিন্তু সময় নয়। বাংলার জন্য আলাদা, ইংলিশের জন্যও আলাদা টাইম।

পাশ করতে হলে আপনাকে যা করতে হবেঃ
দ্রুত টাইপ করতে হবে যাতে নির্ধারিত সময়ে যা টাইপ করলেন তা যেন মিনিটে চাওয়া সময়ের চেয়ে বেশি শব্দ হয়। এখানে শব্দ বলতে "ক" এ রকম নয়। শব্দ বলতে "কলম" হবে। অর্থাৎ "বর্ষা মৌসুমে" এখানে দুটো শব্দ হয়েছে।
লেখার সময় যে শব্দটি লিখছেন সেটিতে কোন একটি ভূল শব্দ চাপ পড়লে সাথে সাথে মুছে কারেক্ট করতে পারবেন। কিন্তু দুটো তিনটি শব্দের পেছনে যেটি টাইপ করা হয়ে গেছে সেটি ভুল থাকলে সংশোধন করতে পারবেন না। যদিও তারা দেখতে না পেলে করতেই পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে ওরা নিষেধ করে ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বানান ভূল লেখা যাবেনা। ৫% এর বেশি বানান ভূল থাকলে যত বেশিই টাইপ করুন না কেন ফেল হবে। কিন্তু যদিও কোন ভূল না করেন। ২% এরও কম ভূল থাকে তাহলে টাইপ কম হলেও পাশ করার সম্ভাবনাই বেশী।
থামতে বললে লেখা বন্ধ করতে হবে।
ওরা যেভাবে স্পিড নির্ণয় করে।
ধরুন চাওয়া হয়েছে মিনিটে ২৫ শব্দ তাহলে ৫ মিনিটে ১২৫ আর ১০ মিনিট থাকলে ২৫০ শব্দ হবে।
এখন ওরা চেক করার সময় অটো সফটওয়ারে কাউন্ট হয়ে যায় যে কতগুলো শব্দ টাইপ করেছেন।
কাজেই ৫ মিনিটে ১২৫ ও ১০ মিনিটে ২৫০ শব্দের বেশি পেলেই তারা পাশের খাতায় রেখে দেয়। সময়ত তারাই কাউন্ট করে কাজেই ফাইলে শব্দের সংখ্যা দেখেই তারা হিসাব করে ফেলে।

এবার ফাইল প্রিন্ট করে ওরা আপনার একটি সিগনেচার নিয়া পরীক্ষা শেষ করে দেবে। এখন প্রিন্টেড কপি ওরা ম্যানুয়াল দেখে যে বানান ঠিক আছে কিনা। বানান ঠিক থাকলে পাশের খাতা থেকে চুড়ান্ত রেজাল্ট শীটে আপনি পাশ করে যাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ