গলার স্বর সুন্দর রাখতে বেশি বেশি পানি ও তরল খাবার খাবেন। পানি ভোকাল কর্ডকে আর্দ্র রাখে এবং আর্দ্র ভোকাল কর্ড শুষ্ক ভোকাল কর্ড থেকে বেশি ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন, কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। মধু খেতে পারেন, আদা চা, লেবু চা খাবেন, মুখে লবঙ্গ রাখতে পারেন। কথা বলা বা গান গাওয়ার মাঝখানে দীর্ঘ শ্বাস- প্রশ্বাস নিলে কথা বলা, গান গাওয়াকে সুন্দর করে এবং ভোকাল কর্ডের অবসাদ হয়না। বক্তব্য বা উপস্থপনা বা বড় সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় মাইক্রোফোন ব্যবহার করা উত্তম। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দেয়া উচিত। যা কণ্ঠনালীর অবসাদ দূর করে এবং শক্তি ফিরিয়ে দেয়। নিজের কণ্ঠকে শুনুন এবং যদি কোন রকমের উপসর্গ থাকে বা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তাহলে যথাযথ যত্ন নিন। যদি দু'সপ্তাহের বেশী স্বর পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়, তাহলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ধূমপান, এলকোহল পান, অতিরিক্ত গরম পানীয় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ইহা ছাড়াও ধূমপান কণ্ঠনালীর প্রদাহ করে। জোরে জোরে বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বলা উচিত নয়। জোরে কথা বললে বা কণ্ঠনালীর অপব্যবহার করলে কণ্ঠনালীতে সুক্ষ আঘাত হতে পারে। দূর হতে কাউকে ডাকতে হলে হাত তালি বা শীষ বা হাত নেড়ে অথবা লাইটের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে নিয়মিত ফজর নামাজের পর তারতীল সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করুন, আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। কন্ঠ ,সুর, ভোকাল, আল্লাহর তায়ালার এক বড় নেয়ামত, যা শুকরিয়া আদায় করে শেষ করার নয়। সকলকে আল্লাহতায়ালা এই নেয়ামত দান করেন না। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমেই কন্ঠ ,ভোকাল, সুর সুন্দর হয় । বেসিক কিছু গলার অনুশীলন & খাবারের নিয়ম আছে সেগুলো সাথে ফলো করুন, খুব কম সময়ে কন্ঠ সুন্দর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।