নামাজের সময় সেজদা থেকে উঠলে সামনের দিকে কিছু চুল বের হলে নামাজের মধ্যে তা ঠিক করতে পারবেন এক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে ফেলবেন না। অথবা যেভাবে আছে সেভাবে রেখেই নামাজ পড়তে পারবেন যদি উক্ত এলোমেলো চুল বিরক্তিকর না হয়। তবে উক্ত এলোমেলো চুল ঠিক করতে হলে এক হাত ব্যবহার করতে হবে। কেউ যদি নামাজের মধ্যে দুই হাত ব্যবহার করে উক্ত এলোমেলো চুল ঠিক করে তাহলে আমলে কাসির হওয়ার কারণে তার নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে। নামাজের অভ্যন্তরের কোন কর্ম আমলে কাসির বলে সাব্যস্ত হলে নামাজির নামাজ সর্বসম্মতিক্রমে ভঙ্গ হয়ে যায়। আমলে কাসিরের পরিমাণ নির্ণয়ের বেলায় ফিকাহবিদগণের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী আমলে কাসির বলা হয় এরূপ কর্মকে, যে কর্মের কর্মরতকে নামাজেরর বাহির থেকে অবলোকনকারীর নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে, সে নামাজরত অবস্থায় নেই। এ ধরনের কর্ম দ্বারা তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।