শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এসএসসি ও এইচএসসি'র সার্টিফিকেটে ভুল সংশোধনের জন্য করনীয় প্রথমে আপনাকে এডুকেশন বোর্ড এর তথ্য কেন্দ্র থেকে নাম পরিবর্তন/ভূল সংশোধনের জন্য ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। যে সকল কাগজপত্র ছাত্র/ছাত্রীর নাম, পদবী, পিতা/মাতার নাম, পদবী সংশোধনের আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবেঃ ১. বোর্ড সচিবের বরাবর প্রতি পরীক্ষার জন্য (এস এস সি ও এইচ এস সি র জন্য) ৫০০ টাকা করে সোনালী ব্যাংকে ডিমান্ড ড্রাফট করতে হবে। ২. ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পিতাকে ১ম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট/নোটারী পাবলিকের নিকট (সংশ্লিষ্ট ছাত্র।ছাত্রীর) পিতা/মাতার নাম সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করতে হবে এবং এফিডেভিট এর মূল কপি জমা দিতে হবে। পিতা জীবিত না থাকলে মাতাকে এফিডেভিট করতে হবে। পিতা ও মাতা উভয়ই জীবিত না থাকলে আইনানুগ অভিভাবক এফিডেভিট করতে পারবে, তবে আইনানুগ অভিভাকত্ব সম্পর্কে জেলা জজের সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে। শুধুমাত্র নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছর অথবা তার বেশী হয় তাহলে নিজেই এফিডেভিট করতে পারবে। এফিডেভিটে পাসের সাল, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম ও সংশোধনের বিষয় সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। ৩. ছাত্র/ছাত্রীর নাম, পদবী, পিতা/মাতার নাম, পদবী সংশোধনের জন্য বাংলাদেশের যে কোন পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির (পত্রিকার নাম ও তারিখ) উল্লেখ করে মুল কাটিং জমা দিতে হবে। ৪. এস এস সি ও এইচ এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, প্রবেশপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট/ মুল সনদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) প্রধান এর কাছ থেকে সত্যায়িত কপি। ৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) প্রধান এর কাছ থেকে ১+১=২ কপি সত্যায়িত ছবি। ৬. পিতা/মাতা/ভাই/বোনের সনদের সত্যায়িত কপি, মায়ের নিকাহনামা, ড্রাইভিং লাইসেন্স/জাতীয় পরিচয়পত্র/জমির পর্চা/টি,আই,এন সার্টিফিকেট ইত্যাদি। উপরের সকল কাগজপত্র ফরমের সাথে সংযুক্ত করার পর ব্যাঙ্ক ড্রাফটের কপি সহ কাউন্টারে (তথ্য কেন্দ্রের পাশে) জমা দিতে হবে। কাউন্টারে আপনার সকল কাগজপত্র যাচাই করে আপনাকে প্রিন্টেড স্লিপ দিবে এবার প্রিন্টেড স্লিপ সহ ফরমটি জমা দিতে হবে। এবার আপনার আবেদনপত্রটি জমা দেয়ার পর ৬-৭ মাস পর আপনাকে চিঠি পাঠানো হবে বোর্ড সচিবের সাথে সাক্ষাতকারের জন্য। সাক্ষাতকারে আপনাকে নাম পরিবর্তনের কারন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হবে। সাক্ষাতকার শেষে আপনার কারনগুলো যদি সচিবের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয় তাহলে আপনার নাম পরিবর্তন/সংশোধনের জন্য অনুমতি মিলবে। এবার আসি বাস্তবতায় আপনি যদি বোর্ড অফিসের কোন কর্মকর্তার সহযোগিতা ছাড়া আবেদন করেন এতে আপনার অনুমতি মিলবার সম্ভবনা নগণ্য। তাই আপনি যদি কোন ঝামেলা ছাড়া কম সময়ে (৩ সপ্তাহ-১ মাসের মধ্যো)কাজটা করে নিতে চান বোর্ড অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কন্ট্রাক্ট করুন তাদেরকে নিদির্ষ্ট টাকা দেয়ার বিনিময়ে আপনি অনেক কম সময়ে কাজটা করে নিতে পারবেন। অন্যথায় দেখা যাবে ৬-৭ মাস অপেক্ষার পর সাক্ষাতকার হল কিন্তু অনুমতি পেলেন না সেক্ষেত্রে আপনার সময়, শ্রম ও টাকা সবই নষ্ট হবে। যারা যারা অনুমতি পাবেন তাদের নামের তালিকা সহ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। (fb)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ