VPN হলো কোন দেশের ইন্টানেট সিস্টেম । যেমন এখন আপনি বাংলাদেশের ইন্টারনেট সিস্টেম ব্যাবহার করছেন । বা এখানে আপনি বাংলাদেশের VPN ব্যাবহার করছেন । তবে আজকাল কিছু App দিয়ে VPN পরিবর্তন করে অন্য দেশের সুবিধা গ্রহন করে । উদহারণ :- কিছু দিন আগে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল কিন্তু কেউ কেউ অন্য দেশের VPN ব্যাবহার করে ফেসবুক চালাত ।
ভিপিএন অর্থ 'ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক' যখন একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটারকে (বা আলাদা নেটওয়ার্ক) একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়, তখন তাদের ভিপিএন বলে। নিরাপদ যোগাযোগ এবং ডাটা অ্যানক্রিপ্ট করার একটি পদ্ধতি হিসেবে এটি কাজে লাগে। মানে ভিপিএন আপনার মেশিনকে একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে এবং আপনার পাঠানো সব ডাটা দ্রুততার সঙ্গে এনক্রিপ্ট করে ফেলে অর্থাৎ পাবলিক ডোমেইন থেকে লুকিয়ে রাখে এবং এটা আপনার ব্রাউজিং হিস্টোরির কোনো ট্র্যাক রাখে না। কাজেই আপনি অনলাইনে পুরোপুরি নিরাপদ। যদিও বেশির ভাগ ভিপিএন সার্ভিসের জন্য টাকা গুনতে হয়। তবে কিছু ফ্রি সার্ভিসও আছে। ফ্রি ভিপিএন সার্ভিসের কিছু উপকারিতা রয়েছে।সুবিধা : সম্পূর্ণ ফ্রি সার্ভিস। এর জন্য আপনাকে কোনো সার্ভিস চার্জ গুনতে হবে না। অ্যাডবিহীন সার্ভিস অর্থাৎ কোনো ধরনের বিরক্তিকর অ্যাড নেই। ব্লক হওয়া সাইটে নিরাপদে ভিসিট করতে পারবেন। হ্যাকারদের হাত থেকে মুক্তি। এর মাধ্যমে অনলাইনে আপনার আইপি লুকায়িত থাকবে। ফলে হ্যাকারদের কবলে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আপনার ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী আইপিএস থেকে নেটের ফুল স্পিড পাবেন। তবে কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন ধরুন, এটি সম্পূর্ণভাবে ইন্টানেটের ওপর নির্ভরশীল। এটি আপনাকে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোডের সুবিধা দেবে না। চলুন কিছু ফ্রি ভিপিএন সার্ভিস সম্পর্কে জানা যাক। ProXPN সার্ভিস : অতি জনপ্রিয় সার্ভিস। এটি আপনি উইন্ডোজ এবং ম্যাকে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ব্যবহারের জন্য আপনাকে ছোট একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে এবং এটি দ্বারাই ভিপিএন কানেক্ট করতে হবে। Cybershost সার্ভিস : কেবল উইন্ডোজ পিসিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি আপনাকে মাসে ১ জিবিএন ক্রিপ্টেড ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধা দেবে। সার্ভিসটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনি পছন্দ মতো সার্ভার বাছাই করতে পারবেন না। ওয়েব সার্ফিংয়ের ক্ষেত্রে এটি ভালো একটি সার্ভিস। Hotspot Shield সার্ভিস : এটি উইন্ডোজ ম্যাক এবং আইফোনে ব্যবহার উপযোগী। বলতে পারেন এটি একটি সেলফ সাপোর্ট সার্ভিস। এটি অ্যাড ফ্রি নয়। অ্যাডের মাধ্যমে ওরা ফান্ড সংগ্রহ করে। SecurityKiss সার্ভিস : এটি আপনাকে প্রতিদিন ৩০০ মেগাবাইট ব্যান্ডউইথ দেবে। এ সার্ভিসটি অ্যাঙ্সে করার জন্য আপনাকে securitykiss সফটওয়্যার দরকার হবে এবং এটি কেবল উইন্ডোজে ব্যবহারযোগ্য। যদি সিকিউরিটির ব্যাপারে খুঁতখুঁতে হন তাহলে আপনার জন্য পেউড ভিপিএন ব্যবহার করারই ভাল।
VPN এর ফুল মিনিং হচ্ছে.... Virtual Private Network. এর মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশে বসে অন্য যে কোন দেশের আইপি থেকে ওয়েব ব্রাউজ করতে পারবেন। মূল কথা এর মাধ্যমে আপনার আইপি হাইড হয়ে থাকবে। VPN সার্ভিসের একটা ফ্রি সার্ভিস হলো Hola VPN এটা গুগোল ক্রোমের একটা এক্সটেনশন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ইচ্ছা মত অন্য কোন দেশের আইপি খেকে facebook, twitter, instragram, reddit, hi5 etc এবং যে কোন সাইটে ব্রাউজ করতে পারবেন। VPN এর বিষয়ে বিস্তারিত ছবিটা থেকে বুঝতে পারবেন।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
ইন্টারনেট যারা ব্যাবহার করেন তারা কমবেশী VPN / ভিপিএন শব্দটা শুনেছেন।
তবে অনেকে হয়তো প্রথমবার VPN শব্দটা শুনে থ হয়ে দাড়িয়ে গিয়েছিলো কারন এই অদ্ভুদ নামের জিনিসটা আসলে কি?
তাদের মনে যে চিন্তাটা আসে তা হচ্ছে, VPN/ভিপিএন জিনিসটা কি? / কি এই ভিপিএন? এটা দিয়ে কি করা হয়? এমন অদ্ভুত নাম কেন?! ইত্যাদি ইত্যাদি...
ভিপিএন কি? |
বেশীরভাগ বাঙ্গালীই মনে করেন ফ্রি নেট চালানোর জন্য যে এপ ব্যাবহার করে তা হচ্ছে VPN! কথাটা "হাইস্যকর" প্রচুর "হাইস্যকর"। কারন VPN মোটেও এ কাজের জন্য তৈরি করা হয়নি বা ব্যাবহার হয়না। এমন অদ্ভুদ ধারনা বা চিন্তার কারন আমাদের বিশেষ করে বাঙ্গালীর প্রযুক্তির ব্যাপারে অজ্ঞতার কারন।
তো আসুন আজ আপনাদের এই VPN সম্পর্কে কিছুটা ধারোনা দিই। :-)
VPN/ ভিপিএন কি?
VPN বা ভিপিএন শব্দটা মাত্র ৩ টি শব্দের সংমিশ্রণে তৈরি এবং এর একটি পূর্ণাঙ্গ রুপ আছে।
V= Virtual
P= Private
N= Network
অর্থাৎVPN এর মানে হচ্ছে Virtual Private Network.
সহজে যদি বলি তবে VPN হচ্ছে এমন একটা ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট জগৎএ নিজের সম্পূর্ন পরিচয় আড়াল করে চলতে পারবেন। যেমন ধরুন গোয়েন্দারা বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে মানুষের মধ্যে ঘুরে তেমনি VPN ব্যাবহার করে আপনি এমন ভিন্ন পরিচয়ে ইন্টারনেটে ঘুরতে পারবেন।
আরেকটু বুঝিয়ে বলি, ধরেন আপনি আপনার পাশের বাসার কোন এক সুন্দরী রমনীর সাথে দেখা করার জন্য তার বাসায় যেতে চান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি নিজে কোনভাবেই নিজের নাম পরিচয় বা নিজের পোশাক পরে তার বাসায় যেতে পারবেননা কারন ঐ বাসার দারোয়ান আপনাকে চিনে ফেলবে।
তখন আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে একটা বোরকা পরে মেয়ে সেজে ঐ বাসায় কোন বাধা ছাড়াই চলে গেলেন।
এখন উপরের উদাহরনটিতে বোরকাই হচ্ছে VPN কারন এটা আপনার নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখে আপনার কাজে সহায়তা করেছে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ইন্টারনেটে এটা আপনার পরিচয় কিভাবে লুকাবে?
তাহলে মন দিয়ে নিচের লেখা পড়ুন।
এতক্ষনতো বুঝলেন VPN কি জিনিস। এবার বলবো এটা দিয়ে কি করে এবং এর কাজ কি?
ইন্টারনেটে চলাফেরার জন্য প্রতিটা মানুষেরই নিজস্ব পরিচয় থাকে যেটাকে বলা হয় IP (আইপি)। প্রতিটা মানুষের জন্য আলাদা আলাদা আইপি থাকে যেটা আপনার ব্যাবহৃত কম্পিউটার বা মোবাইলে সেট করা থাকে। এখন আপনি কোথায় কি করবেন এ মুহূর্তে কোথায় আছেন সব আপনার ঐ IP Address এর মাধ্যমে জানা যাবে।
এখন যদি আপনি VPN ব্যাবহার করে ইন্টারনেটে ঘুরঘুর করেন তবে আপনার ঐ IP অটোমেটিক চেন্জ হয়ে যাবে। ধরেন আপনার IP ছিলো 123, VPN ব্যাবহার করলে সেটা হয়ে যাবে 456! যার ফলে ইন্টারনেট জগৎএ কেউ আপনাকে ট্রাক করতে পারবে না আপনি নিজের পরিচয় গোপন রেখে আরামে কাজ করতে পারবেন।
উত্তরটি আরো জানি ( www.arojani.com) থেকে নেয়া।