আমার খুব দরকার পারলে দিবেন কিন্তু?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
avir

Call

পেটে আলসার বা পেপটিক আলসার এক ধরনের ঘা বা ক্ষত। সাধারণত পাকস্থলী, ইসোফেগাস ও ক্ষুদ্রান্ত্রের গাত্রে এসিডের কারণে এই ক্ষত হয়। এই স্বাস্থ্য সমস্যায় বহু মানুষ আক্রান্ত। পেপটিক আলসার তিন ধরনের- * গ্যাস্ট্রিক আলসার-যা পাকস্থলীর গাত্রে হয় * ইসোফেজিয়াল আলসার-যা ইসোফেগাস বা খাদ্যনালির ভেতরে গাত্রে হয় * ডিওডেনাল আলসার-ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরিভাগে (যা ডিওডেনাম নামে পরিচিত) ক্ষত হয়। একক কোনো কারণে পেপটিক আলসার হয় না। যে কারণেই হোক না কেন, মূল ঘটনাটি হলো পাকস্থলী ও ডিওডেনামে পরিপাক রসের অসামঞ্জস্যতা বা ইমব্যালেন্স। বেশির ভাগ আলসারের অন্যতম বড় কারণ হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে পাকস্থলীতে প্রদাহ ও ইনফেকশন হতে পারে। আলসার হলে এ রোগের লক্ষণ ও উপসর্গঃ পেটব্যথা এর প্রধান লক্ষণ। ব্যথা সাধারণত পেটের উপরিভাগে দেখা যায় এবং রোগী এক আঙ্গুল দিয়ে ব্যথার স্থান নির্দেশ করে দিতে পারে। ব্যথার অনুভূতা সকলের এক রকম নাও হতে পারে। খাদ্যথলির আলসারে খাবার পর ব্যথার বৃদ্ধি ও বমি হবার পর পেট খালি হলে আরাম বোধ এবং ডিওডেনাল আলসারে খালি পেটে ব্যথা হয় ও খাবার পর ব্যথা কমে আসে। আবার অনেকের মাঝ রাতে খালি পেটে ঘুম ভাঙ্গে এবং খাবার খেলে ব্যথা কমে ঘুম হয়। পেপটিক আলসারে বমি থাকে আর ডিওডেনাল আলসারে বমি থাকে না, রোগ পুরাতন হলে বমি দেখা যায়। আলসার হতে রক্তক্ষরণ হলে বমির সাথে রক্ত ও আলকাতরার মত কালো পায়খানা দেখা যেতে পারে। পুরাতন আলসারে পেটের কয়েক দিনের জমা খাবারও বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়। আরো কিছু লক্ষণ যেমনঃ ডিওডেনাল আলসারে কালো পায়খানা ও ওজন বাড়া, পেপটিক আলসারে খাবার খেতে ভয় পাওয়া ও ওজন কমা, কারো বুক জ্বালাপোড়া, টক ঢেকুর উঠা, পেট ফাপা, হজমে অসুবিধা হওয়া, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি থাকতে পারে। সংগৃহীত :

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ