অনেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কিন্তু আবার শেভ করে। এখন প্রশ্ন হলো, দাঁড়ি রাখা নবির সুন্নাত। যারা শেভ করে তাদের নামাজ হবে??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

শরিয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি না রাখা আমার্জনীয় অপরাধ। আল্লাহ্পাকের উপর পূর্ণ আস্থা ও আল্লাহ্পাকের ধমক সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করলে, সব মুসলমানের পক্ষেই দাঁড়ি রাখা সম্ভব। যার দিলে আল্লাহ সোবহানাতা’আলার ভয় বিদ্যমান, একমাত্র সেই ব্যক্তি দাঁড়ি রাখতে সক্ষম। যাদের অন্তরে মানুষের ভয় বিদ্যমান, তারা কখনো দাঁড়ি রাখতে পারে না। এ ধরণের লোক মুখে মুখে যত শক্তিই দেখাক, আসলে সে মানুষের ভয়ে প্রচন্ড ভীতু। দাঁড়ি রাখলে অমুকে কি বলবে বা মনে করবে অথবা ভাবীদের আসর থেকে বঞ্চিত হবার ভয়, কিংবা চাকুরি চলে যাবার ভয় - সবসময় তাকে ঘিরে রাখে। পরিপূর্ণ ইসলামিক জ্ঞানের অভাবে - নিজেকে দেখতে কেমন লাগবে অথবা দাঁড়ি রাখলে অন্যে কি মনে করবে ইত্যাদি বহু ধরনের শয়তানের ধোকায় মোহাবিষ্ট হয়ে অনেক মুসলমান ভাইয়েরা ওয়াজিব থেকে বঞ্চিত হয়ে চব্বিশ ঘন্টা গুনাহে জর্জরিত হচ্ছে। এটাই একমাত্র গুনাহ, যা নাকি বান্দার খাতায় রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা লেখা হচ্ছে। ওয়াজিব প্রায় ফরজের কাছাকাছি। ত্যাগ করা বা ইচ্ছা করে আমল না করা বিরাট গুনাহ্। দাঁড়ি রাখার ফলে বিভিন্ন ফিতনায় অংশগ্রহণ থেকে মুসলিম বান্দা বঞ্চিত হবে, ভাবীদের আসরে যাওয়াও একদিন বন্ধ হয়ে যাবে, বিভিন্ন ধরনের অহেতুক আড্ডা বন্ধ হয়ে পরশ্রীকাতরতার ন্যায় বিশ্রী পাপ একদিন বন্ধ হয়ে যাবে, তৈরী হবে আমলের শখ। নিজের পরিবারের সাথে মহব্বত বাড়বে, সংসারে সুখ আসবে। তাই, প্রতিটি স্ত্রীর তার স্বামীকে দাঁড়ি রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। বারংবার চামড়ার উপর ধারালো ক্ষুর-ব্লেড ব্যবহার করলে ঐ ত্বক খসখসে অমসৃন হয়ে যায়। আর তাই, একজন দাঁড়িওয়ালার আগেই ক্লিন সেইভড ব্যক্তির ত্বক নষ্ট হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই। অপরদিকে, বর্তমান চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে, এটা চোখের জ্যেতিও কমিয়ে দেয়। আবার, মুখের লাবন্যতাও একসময় আর থাকে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

দাড়ি না রাখলে ওই ব্যাক্তির নামাজ হবে কিনা, এর সঠিক উত্তর আমি অনেক খুঁজেও কোথাও পেলাম না। তবে এটুকু বলতে পারি, পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ওয়াজিব। দাড়ি রাখা ইসলামের একটা নিদর্শন এবং এটা সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামের সবসময়ের আমল। আসুন, দাড়ি রাখা প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদিস শুনি: ১. হযরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল স. ইরশাদ করেছেন, দশটি বিষয় সকল নবী রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম। (মুসলিম শরীফ,১/১২৯) ২. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল স. ইরশাদ করেছেন, তোমরা গোঁফ কাট এবং দাড়ি লম্বা কর, আর অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা কর। (মুসলিম শরীফ,১/১২৯) ৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স. ইরশাদ করেন, মুশরিকদের বিরোধিতরা কর, দাড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর। (বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫, মুসলিম) তাহলে উপরোক্ত হাদিস দ্বারা এটা পরিষ্কার যে দাড়ি রেখে ছেড়ে দেওয়া এবং গোফ ছোট রাখা প্রিয় নবী (স:) এর সুন্নত। শরীয়তে দাড়ির পরিমান এক মুষ্টি করা ওয়াজিব। এক মুষ্টির কম দাড়ি হলে তা কর্তন করা হারাম। যদি কোন ব্যাক্তি এক মুষ্টির নিচে দাড়ি কর্তন করেন তবে তিনি হারাম কাজে জড়িত থাকার দরুন শরীয়তের দৃষ্টিতে ফাসিক। এমন ব্যক্তিকে ইমাম বানানো জায়েয নয়। কেউ ইসলামের সকল বিধি-বিধান স্বীকার করে, অথচ অলসতা অথবা শরীয়ত সম্মত নয় এমন সব কারণের জন্য যদি ইসলামের সকল বিধি-বিধান ঠিকমত মেনে না চলে, তবে তাকে ফাসিক বলে। যেহেতু, দাড়ি না রাখা, মুন্ডিয়ে ফেলা বা এক মুষ্ঠির কম রাখা হারাম ও কবীরা গুনাহ; সেহেতু, কেউ নিয়মিত ভাবে এমন গুনা করলে, সে অবশ্যই ফাসিক। তাই দাড়ি না কেটে রেখে দেওয়া এবং প্রসারিত হতে দেওয়াই উত্তম। তথ্যসূত্র: ১. http://www.somewhereinblog.net/blog/asksumon0000/29542234 ২. https://www.facebook.com/permalink.php?id=899635843415014&story_fbid=933014466743818 ৩. http://helpfulhub.com/13548

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ