আপনার সমস্যা দেখে খুশি হলাম। কারন এর মাধ্যমে আপনি পাপমুক্ত হতে চাচ্ছেন। বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ন বিধান। এর মাসলামাসায়েল ব্যপক। বিয়ে সম্পর্কে সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ সাললাললাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন “ দুনিয়ার সব কিছুই (ক্ষনস্থায়ী) সম্পদ,তবে সব সম্পদের তুলনায় সতী-সাধ্বী রমণীই হলো সর্বোত্তম সম্পদ। মুসলিম শরীফ।
তো আপনারা যেহেতু বালেগ সুতরাং আপনারা বিবাহ করতে পারেন। ইসলামী নিয়মে বিবাহের জন্য দুটি বিষয় লাগে। যথা:
1. ইজাব[প্রস্তাব]।
2. কবুল[গ্রহন]
আপনাদের মধ্যে যে কোন একজন তার ওলী তথা নির্ভরশীল এর মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাবে এবং অন্যজন যদি তা গ্রহন করে তাহলে সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্তে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে। সরাসরি একজন আরেকজনকে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে না। এছাড়াও বিবাহতে আরো কিছু সুন্নত রয়েছে। ইজাব ও কবুল হওয়ার পর আপনারা একজন আরেক জনের জন্য হালাল।
আরো কিছু শর্ত বিবাহে থাকতে হবে:
1. কণে ইসলামিকভাবে যোগ্য হতে হবে। যেমন অমুসলিম হওয়া যাবে না।
2. উভয়পক্ষ পরস্পরের শব্দ শ্রবণ করতে হবে।
3. দু’জন স্বাধীন পুরুষ বা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দু’জন স্বাধীন নারীর সাক্ষী হওয়া
বিয়ে মুসলমানদের জন্য ফরজ। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।” [সূরা নূর, ২৪:৩২] তবে আধুনিক যুগে অনেক তরুণ-তরুণীকেই দেখা যায়, তারা বাবা-মাকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো বিয়ে করে থাকে। তরুণ-তরুণীদের এই ধরণের বিয়ে ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে কি বৈধ? অনেকেই তা জানে না। তরুণ-তরুণীদের এরূপ লুকিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে মহানবী (সা.) স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:“যে নারী তার অভিভাবকের (বাবা-মা কিংবা বড়ভাই এক কথায় অবিভাবক) অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” [হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ] মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর এই ব্যাখ্যায় স্পষ্টই প্রমানিত যে, বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের বিনা অনুমতিতে পালিয়ে বিয়ে করাকে ইসলাম সমর্থৃন করে না। নবীজী (সা.) এই রূপ বিয়েকে সরাসরি বাতিল বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন, সুতারাং এই বিয়ে হারাম এবং অবৈধ।