আমি প্রতিদিন রাতে শোবার সময় বালিশের নিচে মোবাইল রেখে খুব কম সাউন্ডে গান শুনি। এক্ষেত্রে কি আমার মস্তিস্কে কোনো ক্ষতি হতে পারে? এভাবে গান শোনার কি কোনো অপকারীতা আছে? থাকলে একটু জানাবেন প্লীজ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মোবাইল ফোন যদিও আমাদের অবসর সময়ের এক প্রকৃত বন্ধু তারপরও এই মোবাইল ফোন আমাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।রাতে মোবাইল পাশে রেখে বা কানে হেডফোন লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তা অবশ্যই কানের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। গান না শুনলে তাদের ঘুমই আসে না। ফলে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরেও বাজতে থাকে মোবাইল ফোনের গান। সাধারণত সাউন্ডবক্স হোক বা হেডফোন যাই হোক না কেন অতিরিক্ত ভলিউম দিয়ে দীর্ঘক্ষণ গান শোনার অভ্যাস কানের এবং শ্রবণশক্তির জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। ডাক্তাররা বলেন ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ যদি কেউ প্রতিনিয়ত শুনতে থাকে,তাহলে ধীরে ধীরে তার শ্রবণশক্তিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। অতিরিক্ত আওয়াজে আমাদের কানের পর্দায় প্রদাহের সৃষ্টি হওয়ার ফলে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। উত্তরা উইমেন মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন ইয়াসমীন বলেন, ‘হেডফোনের ব্যবহার অবশ্যই ক্ষতিকর। এটা দীর্ঘ সময় কানের সঙ্গে থাকলে কানে সংক্রমণ হতে পারে। শব্দের মাত্রা কমিয়েও দীর্ঘ সময় শুনলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। হেডফোন বা মোবাইলের গান সাধারণত মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে আমাদের কানে পৌঁছায়, যা কানের জন্য ক্ষতিকর। আমরা সাধারণত নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করি।’ একজন লোক যদি প্রতিদিন টানা ৪০ মিনিট উচ্চশব্দে গান শোনে, অদূর ভবিষ্যতে এটি তার শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

গান শোনা ভালো।কিন্তু ঘুমের সময় বালিশের নিচে মোবাইল রেখে গান শুনলে মাথার খতি হয় এবং ঘুম আসবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ