ফরয গোসল করার উত্তম পদ্ধতি হলো- হাদীসে এসেছে, মায়মুনা রাযি. হতে বর্ণনা করেন- আমি রাসূলুল্লাহ্ সা.-এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তা দিয়ে তিনি অপবিত্রতার গোসল করেন। নাবী সা. বদনা নিজের ডান হাতের উপর কাৎ করে তা দুই বা তিনবার ধৌত করেন। অতঃপর তিনি তাঁর লজ্জাস্হানের উপর পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে ধৌত করেন। পরে তিনি মাটির উপর হাত ঘষে (দুর্গন্ধমুক্ত হওয়ার জন্য) তা পানি দিয়ে ধৌত করেন। অতঃপর তিনি কুলি করেন এবং নাক পরিষ্কার করেন। অতঃপর মুখমন্ডল ও দুই হাত ধৌত করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় মাথা ও সর্বাংগে পানি ঢালেন। পরে তিনি উক্ত স্থান হতে অল্প দূরে সরে গিয়ে উভয় পা ধৌত করেন। -সুনানে আবু দাউদ; হা. নং ২৪৫
তাছাড়া এক্ষেত্রে করণীয় হলো শরীরে থাকা লুঙ্গি বা পা জামা যা থাকুক তা খোলে অন্য একটি কাপড় পরিধান করে গোসল করা। কারণ তা শরীরে থাকলে শরীরে পানি ঢাললে কাপড়ে থাকা নাপাক শরীরে ছড়িয়ে যায়। বাকি থাকরো শরীরে থাকা নাপাক পরিষ্কার করার পদ্ধতি; সেক্ষেত্রে লুঙ্গির নিচ দিয়ে মগ বা এজাতীয় কোন কিছু দিয়ে পানি দ্বারা নাপাক ধৈত করা। আশাকরি এভাকে করলে উলঙ্গ হওয়ার প্রয়োজন হবে না। আর প্রয়োজন ছাড়া উলঙ্গ হয়ে গোসল করা উচিত নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং তা পরিহার করা উচিত। এক হাদিসে এসেছে যে, মুয়াবিয়া বিন হাইদা হতে বর্ণিত। একদা রাসূল সা. বলেছেন যে, তুমি তোমার বিবি ও তোমার দাসী ছাড়া অপরের নিকট হতে তোমার লজ্জাস্থানকে সর্বদা রক্ষা কর (অর্থাৎ ঢেকে রাখবে)। আমি বললাম-“ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলুন! যদি কোন ব্যক্তি নির্জনে একাকী থাকে! (তখনও কি তা ঢেকে রাখতে হবে? প্রয়োজন ছাড়া খোলা নিষিদ্ধ?) তিনি বললেন (হ্যাঁ) আল্লাহ তায়ালাকে অধিক লজ্জা করা উচিত। -জামে তিরমিজী; হাদীস নং ২৭৬৯