(!) স্বাস্থ্যকর খবার গ্রহণ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত শুধু পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে না। খেতে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। প্রোটিনযুক্ত খাবার পেশী গঠনে সহায়তা করে। এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস গ্রহণ করুন। রোজ খান ডিম, পনির ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত-রুটি-আলু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
(!)একসাথে খাবার নয় আপনি কম কম করে খান ২-৩ ঘণ্টা পর পর। ফল, জুস, সালাদ ইত্যাদিও খান। চিপস, তৈলাক্ত নাস্তা, জাঙ্ক ফুড, গ্যাস ড্রিঙ্কস ও না খাওয়াই ভালো। খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার স্বাস্থ্যকর উপায়ে।
(!)পানি প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন। দেহের কোনো পরিবর্তন চাইলে দেহকে আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ভারী খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবারের মাঝখানে কখনই পানি খাওয়া ভালো না। এতে করে খাবার মাঝখানে পানি ক্ষুধাটাকে নিবারণ করে। ফলে ভারী খাবার খাওয়ার রুচি থাকে না।
(!)পর্যাপ্ত ঘুম যদি সম্ভব হয় দুপুরে ৩০মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ঘুমান। রাতে দেরি না করে আগে ঘুমিয়ে পড়ুন। এবং দিনে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
(!)নিয়মিত ব্যায়াম নিয়মিত ব্যায়াম করুন ক্ষুধা বাড়াতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। অনেকেই হয়তো ভাবেন ওজন বাড়াতে হয়তো কোন ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ব্যায়াম আসলে প্রয়োজন শরীরকে ফিট রাখতে। হাঁটতে পারেন বা জগিং বা ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়া সাঁতার কাটতে পারেন, ইয়োগা করতে পারেন বা যেকোনো আউটডোর খেলায় অংশগ্রহন করতে পারেন।
আপনি প্রোটিন,শর্করা ইত্যাদি খাবারে বেশি জোর দেন অথাৎ সর্বদা অধিক ক্যালরি গ্রহন করতে হবে তাই দিনে ৩ বেলা খাওয়ার জায়গায় ৬/৭ বার পুষ্টিকর খাবার খাবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও পানি খেতে হবে। যদি ওষুধ খেতে চান তবে 'সিনকারা" সিরাপটি খেতে পারেন এতে যেমন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া কম তেমনি কার্যকরী ওষুধ। তথাপি খাদ্য খেয়ে ফিট থাকাটাই শ্রেয়।
মোটা হওয়ার সহজ উপায় ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস ১, প্রতিদিন কিছু খাবার খেতে হবে হা তাই বলে ভাজা পোড়া না। কিছু প্রোটিন ও শর্করা সমৃদ্ধ খাবার এর একটা তালিকা করে একদম ঠিক সময়ে খেয়ে নিতে হবে। ২, সকালে উঠে একটু বাদাম, কিসমিস আর ছোলা খাওয়া খুব জরুরি ৩, ডিম দুধ ও অন্যান্য ফল জাতীয় খাবার খেতে হবে। ৪, ভাজা বা অস্বাস্থ্যকর খাবার সম্পূর্ন ত্যাগ করতে হবে। ৫, খাবারে, আলু ডাল, ছোট মাছ, মাছের কলিজা, নিহারি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার একটু বেশি খেতে হবে। ৬, লক্ষ্য রাখতে হবে খাবারের মাধ্যমে যতটা ক্যালরি আপনি গ্রহন করছেন তার চেয়ে যেন বেশি ক্ষয় হয়ে না যায়। এজন্য নিচের চার্টটি ফলো করতে পারেন। ৭, খাবারের পরিমানটা একটু বেশি করতে হবে। তবে অবশ্যই ফল ও সবজি জাতীয় খাবার। ৮, ঘুমাবার আগে এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিবেন সাথে মধুও খেতে পারেন। ৯, যদি আইসক্রিম আপনার ফেবারিট হয়ে থাকে তাহলে কোন প্রবলেম নাই নিঃসন্ধেহে খেতে পারেন। ১০, আর যদি কোন রোগ থাকে তাহলে অবশ্যই ডক্টর এর পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। মোটা হওয়ার জন্য আজ কাল বাজারে অনেক ঔষধ পাওয়া যায় এগুলু খাওয়া মোটেও ঠিক নয়।তাই ভুলেও ঔষুধ খেয়ে মোটা হওয়া বা ওজন বৃদ্ধি করার চিন্তা করবেন না।। স্যাস্বই সুখের মুল মোটা হওয়া নই