আপনি আপনার স্ত্রীর সেদিনের রক্তের ঘ্রাণটা স্বরণ রাখতে পারলে একটু অপেক্ষা করুন। সামনে আবার যখন মাসিক হবে, তখন তার রক্তের ঘ্রাণ সংগ্রহ করুন, যদি উভয় রক্তের ঘ্রাণ মিলে যায় তাহলে প্রথম রাতের রক্ত মাসিকই ছিল। আর যদি তা না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে সেটা ভার্জিন ছেঁদের কারণে ঝরা রক্তই ছিল। কারণ রক্তেরও নিজস্ব একটা গন্ধ আছে।
এটা স্বাভাবিক বিষয়...যৌন মিলনের অনেক সময় রক্তপাত হতেই পারে..তাছাড়া প্রথম মিলনে সত্বীছেদ পর্দা ফেটে গেলেও অনেক রক্তপাত হতে পারে.তাই সন্দেহ না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ রাখুন আপনার স্ত্রীকে।অযথা সন্দেহ করা অনেক সময় পুরুষের একটা মানসিক ব্যাধি।আর মনে রাখবেন,ভার্জিন বোঝার কোনো উপায় নেই।তবে পাচ থেকে সাতদিন আগে মিলন করলে তা কিছূ টেস্ট ধরা পড়ে যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
ভার্জিন মেয়েদের যোনির লিবিয়া মেইনরার নিচে জোনাপেলুসিদা নামক একটি পর্দা থাকে, সোজা বাংলায় সতিচ্ছেদ পর্দা থাকে, আগের দিনে মনে করা হত এটি ভার্জিনিটির প্রমান, এখনো অবশ্য এটাই মনে করা হয়, প্রথম সহবাসের সময় চাপে এটি ফেটে যায় ও রক্তপাত হয় যা দেখে বোঝা যায় ভার্জিন, কিন্তু এখন আমরা জানি যেসব মেয়েরা চঞ্চল, দৌড় ঝাপ করে তাদের এমনিতেই ফেটে যায়, সাইকেল চালনা করলে ফেটে যেতে পারে, তাই ফাটা থাকলেও ভার্জিন হতে পারে, আবার চিকিৎসা করে পর্দা জোড়া লাগানো যায় তাই পর্দা থাকলেই প্রমান হয়না যে ভার্জিন, এক্ষেত্রে ছেলেদের একটু জ্ঞানি হলেই বোঝা যায়, যেমন নারী দেহে প্রথম স্পর্শ পড়লে কিছু প্রতিক্রয়া ঘটে, আর যোনি খুব শিথিল থাকে, রুগী গুলো বেশি সংকুচিত থাকে, এসব দেখে মোটামুটি বোঝা যায়, তবে আপনি আরও কিছু বলেছেন যা গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ডের রক্ত অবশ্য গন্ধযুক্ত(কম বা বেশি হতেই পারে, ঝালালো তীব্রতা থাকে) কিন্তু টাটকা রক্ত গন্ধ নয় এবং তারল্যভাবের রং সঠিক, আর পিরিয়ডের রক্ত জমাট জমাট ভাব থাকে, লাল রং সঠিক থাকেনা, ব্যাথার যে কথাটা আপনি বলেছেন সেটা আমি এখানে লিখে বোঝারে পারব না, কারন আপনাকেই বুঝতে হবে যে লিঙ্গ পুর্ণ প্রবেশের সময় ব্যাথা পেয়েছিল কিনা। যাই হোক ভাই, সন্দেহ রাখবেন না, খুবই খারাপ বিষয় এটা, দুজনের বিশ্বাসেই সর্গীয় সুখ রচিত হয়।
আপনি যে ভার্জিন তার নিশ্চিত কিছু কি আপনার বউকে জানিয়েছেন? গন্ধ শুঁকে ভার্জিনিটি পরীক্ষা করে শান্তি চান? মন থেকে সমস্ত সন্দেহ দূর করে বউকে বেশি বেশি ভালবাসুন, দেখবেন আপনি হবেন এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। প্রত্যেকমানুষই তার পাপের শাস্তি পাবে। কাজেই পৃথিবীর শান্তি ও অশান্তি কোন ঠুনকো বিষয়ে আটকে না রেখে আপনার সুন্দর সময় টুকু উপভোগ করাই বুদ্ধির কাজ হবে।