আজকাল আমি অনেক কেই দেখতে পাচ্ছি নামাজ শেষে আরেকটি সিজদা দিতেছে এটা কি জায়েয আছে?এটা কিসের সিজদা এটার উৎপত্তি কোথা থেকে?কেউ না জেনে উত্তর দিবেন না।
আপনি যেই সিজদার কথা বলছেন সেটি হল সাহু সিজদা।
সাহু সিজদা শুধুমাত্র নামাজের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে অর্থাৎ
নামাজের মধ্যে ভূল হলে দিতে হয়। নামাজে ওয়াজিব তরক কৃত
ভূল হয়ে যায় তাহলে সাহু সিজদা দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায়।
এটি জায়েজ তবে তা শরীয়ত সম্মত ভাবে দিতে হবে।
অর্থাৎ
শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে দুইবার
সিজদা দিতে হয় এটিই শরীয়ত সম্মত বা উত্তম। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া)
যদি সাহু সিজদা ব্যতিত ইচ্ছাকৃত সিজদা দেওয়া হয় তাহলে
নামাজ আদায় হবেনা।
দৃশ্যত: কোন মঙ্গল লাভ হলে বা বাহ্যত: কোন বিপদ-আপদ কেটে গেলে শুকরানা সিজদাহ (কৃতজ্ঞতামূলক সেজদা) করা মুস্তাহাব। তাই যেকেউ আল্লাহর নিকট থেকে মঙ্গল লাভ করলে নামাজ শেষে বা অন্য যেকোনো সময় শুকরানা স্বরুপ সিজদাহ্ দিতে পারবেন। আপনি যাদের কে সিজদাহ দিতে দেখেন তারা শুকরানা সিজদাই দেয় । উক্ত লোকগুলো ভাল কাজই করে থাকেন । আল্লাহ্ কে যত সিজদাহ্ দিবেন তিনি তত খুশি হবেন ।
সাদ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমরা মক্কা থেকে মদিনার পানে রওয়ানা দিলাম। আমরা যখন ‘আযওয়ারা নামক স্থানের নিকটবর্তী হলাম, তিনি সওয়ারী থেকে নেমে পড়লেন এবং তাঁর দুই হাত তুলে কিছুক্ষণ দো‘আ করলেন, তারপর সেজদা করলেন, দীর্ঘ সময় সেজদায় থাকলেন, তারপর উঠলেন এবং আবার দুই হাত তুলে কিছু সময় দো‘আ করলেন, তারপর আবার সেজদায় নত হলেন।
তিনি তিনবার এমন করলেন এবং বললেন: আমি আমার প্রভুর নিকট আবেদন করেছিলাম এবং আমার উম্মতের জন্য সুপারিশ করেছিলাম। আল্লাহ আমাকে আমার এক-তৃতীয়াংশ উম্মত (জান্নাতে) দিয়েছেন। আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য আমি সেজদা করলাম। তারপর আমি মাথা উঠিয়ে আমার উম্মতের জন্য আমার প্রভুর কাছে আবেদন করলাম। তিনি আমাকে আমার আরও এক-তৃতীয়াংশ উম্মত (জান্নাতে) দিলেন। এজন্যও আমি কৃতজ্ঞতার সেজদা করলাম। তারপর মাথা তুলে আমার উম্মতের জন্য আবেদন করলাম। তিনি আমাকে আরও এক-তৃতীয়াংশ উম্মত (জান্নাতে) দিলেন। এজন্যও আমি কৃতজ্ঞতার সেজদা করলাম। (রিয়াযুস স্বা-লিহীন হাদিস নম্বরঃ1166)
(অবশ্য শুকরানার সিজদাহ অন্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন সুসংবাদ দেওয়া হলে তিনি সিজদাহ করতেন।) (ইবনে মাজাহ :১১৪১)