১।নেশাগ্রস্ত হওয়া : আপনি যখন থেকে ঘুমের ঔষধ খাওয়া শুরু করবেন তখন থেকে আপনার দেহ নিজের মধ্যেই একধরণের সহ্য ক্ষমতা তৈরি করে নেবে। অর্থাৎ আপনি যে পাওয়ারের ঔষধ খাওয়া শুরু করেছেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সে পাওয়ারের ঔষধে কোনো কাজই হবে না। বরং আপার দেহ আরও পাওয়ারের ঔষধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেবে। এরপর দেহের স্বাভাবিক হরমোনের সমস্যা দেখা দেবে এবং সেই সাথে আরও নানা সমস্যায় জর্জরিত হবেন আপনি।
তাই ঘুমাতে সমস্যা হলে নিজে নিজে ঔষধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলুন।
২।ঘোরের মধ্যে থাকা :
ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিপোর্টে জানা যায় ঘুমের ঔষধের রেশ শুধুমাত্র রাতেই কেটে যায় না। বরং পুরো দিন তন্দ্রাচ্ছন্ন করে রাখে এবং সেই সাথে যারা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খান তারা একধরণের ঘোরের মধ্যে চলে যায়। এটি এক পর্যায়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। সুতরাং সাবধান।
৩।মানসিক সমস্যা ও শারীরিক সমস্যা :দীর্ঘসময় ঘুমের ঔষধ সেবনের ফলে ঘুমের মধ্যে হাটার সমস্যা এবং স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও যারা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খান তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। অনেকেই আংজাইটিতে ভোগেন এবং খুবই খিটমিটে মেজাজ প্রকাশ করতে থাকেন।
ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার ৪ পার্শ্বপ্র তিক্রিয়া
৪।ক্যান্সার ও মৃত্যুর আশংকা
গবেষণায় দেখা যায় যারা ঘুমের ঔষধ সেবন করেন তাদের অন্যান্যদের তুলনায় ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেক বেশী থাকে। ঘুমের ঔষধ অনেকাংশেই দেহে ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ঘুমের ঔষধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগণ।