সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় : যে তদ্ধিত প্রত্যয় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন : মনু+ষ্ণ=মানব; লোক+ষ্ণিক=লৌকিক ইত্যাদি।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত ধাতু বলে। যেমন : কৃ, কাঁদ, জান্, নাচ্ ইত্যাদি।এখানে সংস্কৃত ধাতু ও তা থেকে গঠিত পদ এবং সংস্কৃত ধাতুর একই...
সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় : সংস্কৃত নিয়মানুযায়ী ঐ ভাষার ধাতুর সঙ্গে যেসব সংস্কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় বলে। যেমন : √কৃ+তব্য=কর্তব্য, √দৃশ্+অন =দর্শন ইত্যাদি।
(০) শূন্য-প্রত্যয় : কোনো প্রকার প্রত্যয়-চিহ্ন ব্যতিরেকেই কিছু ক্রিয়া-প্রকৃতি বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ রূপে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।এরূপ স্থলে (০) শূন্য প্রত্যয় ধরা হয়। যেমন : এ মোকদ্দমায় তোমার জিত্ হবে...
বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকার। যেমন :ক. সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় : যে তদ্ধিত প্রত্যয় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়...
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় : বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত ও বিদেশি প্রত্যয় ছাড়া বাকি সব প্রত্যয়কে বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন : বাঘ+আ=বাঘা; ঘর+আমি=ঘরামি ইত্যাদি।
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় : শব্দের শেষে যেসব বিদেশি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাদের বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন : ডাক্তার+খানা=ডাক্তারখানা, ধড়ি+বাজ= ধড়িবাজ ইত্যাদি।
ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণ্য, ষ্ণিক, ইত, ইমন, ইল, ইষ্ট, ঈন, তর, তম, তা, ত্ব, নীন, নীয়, বতুপ্, বিন, র, ল প্রভৃতি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে যে সমস্ত শব্দ গঠিত হয় সেগুলো বাংলা...