যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্যকোনো পদকে বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: বহুব্রীহি (ধান) আছে যার=বহুব্রীহি। এখানে ‘বহু’ কিংবা ‘ব্রীহি’ কোনোটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লোককে বোঝাচ্ছে।
বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন :
আয়ত লোচন যার=আয়তলোচনা (স্ত্রী) মহান আত্মা যার=মহাত্মা স্বচ্ছ সলিল যার=স্বচ্ছসলিলা
নীল বসন যার=নীলবসনা স্থির প্রতিজ্ঞা যার=স্থিরপ্রতিজ্ঞ ধীর বুদ্ধি যার=ধীরবুদ্ধি
‘সহ’ কিংবা ‘সহিত’ শব্দের সঙ্গে অন্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে ‘সহ’ ও ‘সহিত’ এর স্থলে ‘স’ হয়। যেমন :
বান্ধবসহ বর্তমান=সবান্ধব সহ উদর যার=সহোদর>সোদর
এরূপ : সজল, সফল, সদর্প, সলজ্জ, সকল্যাণ ইত্যাদি।
বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদে ‘অক্ষি’ শব্দের স্থলে ‘অক্ষ’ ও ‘নাভি’ শব্দ স্থলে ‘নাভ’ হয়। যেমন :
কমলের ন্যায় অক্ষি যার=কমলাক্ষ পদ্ম নাভিতে যার=পদ্মনাভ
এরূপ : ঊর্ণনাভ
বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘জায়া’ শব্দ স্থানে ‘জানি’ হয় এবং পূর্বপদের কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন :
যুবতী জায়া যার= যুবজানি (যুবতী স্থলে ‘যুব’ ও ‘জায়া’ স্থলে জানি হয়েছে)।
বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘চুড়া’ শব্দ সমস্ত পদে ‘চূড়’ ও ‘কর্ম’ শব্দ সমস্ত পদে ‘কর্মা’ হয়। যেমন :
চন্দ্র চূড়া যার= চন্দ্রচূড় বিচিত্র কর্ম যার=বিচিত্রকর্মা
বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘গন্ধ’ শব্দ স্থানে ‘গন্ধি’ বা ‘গন্ধা’ হয়। যেমন :
সুগন্ধ যার=সুগন্ধি পদ্মের ন্যায় গন্ধ যার= পদ্মগন্ধি মৎস্যের ন্যায় গন্ধ যার=মৎস্যগন্ধা