শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

জীবন শব্দের অর্থ আর কি হতে পারে? বলতে পারেন জীবন=জীবের প্রাণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MHR

Call

প্রশ্ন: জীবনের মানে কি? উত্তর: জীবনের মানে কি? কিভাবে জীবনের উদ্দেশ্য, পরিপূর্ণতা এবং সন্তুষ্টি খুঁজে পাওয়া যায়? কিভাবে জীবনের স্থায়ী কিছু অন্তর্নিহিত অর্থ অর্জন করা যায়? অনেক লোকই আছে যারা জীবনের এই সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো বিবেচনা না করে থামতে চায় না। এমন কি যে সার্থক হবার পথে যাত্রা করেছিল, তা অর্জন করা সত্বেও তারা তাদের পুরানো বছরগুলোর দিকে ফিরে তাকায় আর ভাবে কেন তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এবং কেন তারা শূন্যতা অনুভব করছে। একজন খেলোয়ার প্রতিযোগীতায় সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাবার পরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, খেলা শুরু হবার প্রথমে কোন কথাটি শুনতে সে ইচ্ছুক ছিল। সে উত্তর দিয়েছিল, ‘কেউ যদি আমাকে বলত, তুমি যখন শীর্ষে পৌছাবে- দেখবে তারপরে আর কিছুই নাই।’ অনেক লক্ষ্যই মূলত শূন্যতা প্রকাশ করে; বেশ কয়েক বছরের সব কাজই শুধুমাত্র অযথা নষ্ট হয়েছে মনে হবে। আমাদের মানবিকতার সংস্কৃতি অনুসারে, লোকেরা অনেক কিছুর পিছনে ছোটে আর মনে করে- তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পাবে। এই সব অনুসন্ধানের মধ্যে ব্যবসায়িক সফলতা, ধন-সম্পদ, ভাল সম্পর্ক, যৌনতা, আনন্দ-স্ফুর্তি, অন্যের জন্য মংগল করাটাও যুক্ত রয়েছে। লোকদের কাছে এটা পরীক্ষিত হয়েছে- যখন তারা ধন-সম্পদ অর্জনে, সম্পর্ক সৃষ্টিতে এবং আনন্দ-স্ফুর্তিতে সার্থক হয়েছে, তখন তাদের মধ্যে এক গভীর শূন্যতা তারা অনুভব করেছে যা কোনভাবেই পূর্ণ হবার নয়। বাইবেলের উপদেশক পুস্তকটির লেখক এইরকম অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, “অসার, অসার! কোন কিছুই স্থায়ী নয়। সব কিছুই অসার” (উপদেশক ১:২)। উপদেশক পুস্তকটির লেখক রাজা শলোমনের সীমাহীন ধন-সম্পদ ছিল, তার বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা সে যুগের এবং এ যুগের সব লোকের চেয়ে অনেক অনেক বেশী ছিল। শত শত স্ত্রীলোক, অনেক রাজবাড়ী এবং অনেক বাগান বিভিন্ন দেশের জন্য হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভাল ভাল খাবার ও পানীয় এবং সব ধরণের আনন্দ-স্ফুর্তিও তার জন্য ছিল প্রচুর। তাই তিনি এক সময় বলেছেন, তার মনে যা চাইত তিনি তা-ই করতেন। তারপরেও তিনি উপসংহার টেনেছেন “সূর্যের নীচে” যদিও বেঁচে থেকে সব কিছু করছি; আমরা যা চোখে দেখি এবং অনুভূতি দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেই জীবন-যাপনের জন্য যা কিছু করি- এ সবই অসার। কেন এই গভীর শূন্যতা? কারণ ঈশ্বর আমাদের এমন কিছুর জন্য সৃষ্টি করেছেন যা আমাদের বর্তমানে পাওয়া অভিজ্ঞতারও বাইরে। সেই জন্য শলোমন ঈশ্বরকে বলেছেন, “তিনি মানুষের অন্তরে অনন্তকাল সম্বন্ধে বুঝবার ইচ্ছা দিয়েছেন ... ...” (উপদেশক ৩:১১খ)। আমাদের অন্তরে সতর্কভাবে বুঝে নিতে হবে যে, “বর্তমান” মানেই সব কিছু নয়। বাইবেলের প্রথম পুস্তক হচ্ছে আদি পুস্তক, সেখানে আমরা দেথতে পাই যে, ঈশ্বর তাঁর নিজ প্রতিমূর্তিতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন (আদি পুস্তক ১:২৬)। এর মানে, আমরা অন্য কোন কিছুর মত না (অন্য কোন জীবন্ত প্রাণীর মত না) বরং অনেকটা ঈশ্বরের মত। আমরা এও দেখতে পাই যে, মানুষের পাপে পতনের পর পাপের অভিশাপ এই পৃথিবীতে এসেছিল। সেই জন্য এই বিষয়গুলো সত্যি হয়েছিল: ১) ঈশ্বর মানুষকে সামাজিক প্রাণী হিসাবে সৃষ্টি করেছিলেন (আদি পুস্তক ২:১৮-২৫); ২) ঈশ্বর মানুষকে কাজ দিয়েছিলেন (আদি পুস্তক ২:১৫); ৩) ঈশ্বরের সাথে মানুষের সহভাগিতা ছিল (আদি পুস্তক ৩:৮); এবং ৪) ঈশ্বর মানুষকে পৃথিবীর সব কিছুর উপরে রাজত্ব করতে দিয়েছিলেন (আদি পুস্তক ১:২৬)। এই সবের গুরুত্ব কি হতে পারে? ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন আমরা এই সবের মধ্যে দিয়েই আমাদের জীবনের পূর্ণতা পাই। কিন্তু এই সব কিছুই (এমন কি ঈশ্বরের সাথে মানুষের সহভাগিতার সম্পর্কও) মানুষের পাপে পতনের ফলে উল্টোভাবে কাজ করতে শুরু করেছিল, যার ফলে পৃথিবীতে এসেছিল অভিশাপ (আদি পুস্তক ৩ অধ্যায়)। বাইবেলের শেষ পুস্তক প্রকাশিত বাক্যে ঈশ্বর প্রকাশ করেছেন যে, তিনি এই বর্তমান আকাশ ও পৃথিবী ধ্বংস করে দেবেন এবং নতুন আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করে অনন্তকালীন রাজ্যে উন্নীত করবেন। সেই সময়, উদ্ধারপ্রাপ্ত মানুষের সাথে তাঁর সম্পর্ক পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করবেন; যারা উদ্ধারপ্রাপ্ত নয় তারা অযোগ্য বলে বিচারিত হবে ও আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হবে (প্রকাশিত বাক্য ২০:১১-১৫)। পাপের অভিশাপ আর থাকবে না; পাপ আর থাকবে না, দুঃখ-কষ্ট, রোগ-পীড়া, ব্যাথা ও মৃত্যু কিছুই আর থাকবে না (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪)। ঈশ্বর নিজেই তাদের সাথে বাস করবেন এবং তারা হবে তাঁর সন্তান (প্রকাশিত বাক্য ২১:৭)। এভাবেই আমাদের জীবনের চাকা পূর্ণ হবে: ঈশ্বর চেয়েছিলেন যেন আমরা তাঁর সাথে পূর্ণ সহভাগিতায় থাকি, কিন্তু আমাদের পাপের ফলে সহভাগিতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর, ঈশ্বর অনন্তকালে আবার সহভাগিতা পুনরুদ্ধার করবেন। এভাবে জীবন পথে সব কিছু অর্জন করতে করতে শুধুমাত্র মৃত্যু অনন্তকালের জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদের আলাদা করবে যা হবে তুচ্ছ ও অসার! কিন্তু ঈশ্বর আমাদের জন্য শুধুমাত্র অনন্তকালীন আশীর্বাদ পাবার পথ প্রস্তুত করেছেন (লূক ২৩:৪৩)শুধু তা-ই নয়, কিন্তু এই পৃথিবীতেও আমাদের জীবন সন্তোষজনক ও অর্থবহ করেছেন। এই অনন্তকালীন আশীর্বাদ এবং ‘পৃথিবীতে স্বর্গ’ পেলে কেমন হবে?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ