............................. কলেজের অধ্যক্ষ ......................... মহোদয়ের অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে ।
হে বিদায়ী গুরুজন,
ফাগুন বেলা, শোভিত শিমুল-পলাশের বন, কোকিলের কুহুতান। বসন্তের এমনি এক উদাসী ক্ষণে বিদায় নামের বেদনা বিধুর পর্বে আমরা উপনীত হয়েছি। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর নিয়মের বাধ্যবাধকতা আর সময়ের তাগিদে আপনার বিদায় যেনো এক অসহনীয় যন্ত্রণার নির্মম বাস্তবতা। তাইতো বিদায়ের করুণ সুরে আমাদের অন্তর আজ অব্যক্ত বেদনায় ভারাক্রান্ত। আমাদের হৃদয়-মন আজ বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন; আমাদের চোখ আজ অশ্ত্রু ছল ছল।
হে শিক্ষাগুরু,
নবীনদের অন্তরে শিক্ষার আলো জ্বালাবার মহান দায়িত্ব নিয়ে একদিন যে পথে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিল; অবসর গ্রহণের মাধ্যমে আপনি সে পথের প্রান্তে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু এর মাঝে জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন অগণিত অন্তরে জ্ঞানের স্নিগ্ধ আলো। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে সুনিপুণ হাতে গড়ে তুলেছেন অগণিত জ্ঞানের আধার। আমাদের অগ্রজ হিসেবে অনেকেই আজ শত ক্রোশ দূরে থেকেও আপনার মত মহান কর্মীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের অনুজ হিসেবে আমরাও আপনার প্রতি পরম শ্রদ্ধায় অবনত।
হে নিরলস কর্মী,
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালনে আপনি ছিলেন নিরলস কর্মী। তাইতো আপনার প্রতিটি দিন ছিল কর্মমুখর। নিজ দায়িত্বের প্রতি আপনি ছিলেন কর্তব্যনিষ্ঠ। আপনার কর্তব্যনিষ্ঠার সুবাদে আমরা সত্যিকার জ্ঞানের যে সন্ধান পেয়েছি, তা আলোকবর্তিকা হয়ে ভবিষ্যতে আমাদের পথ দেখাবে। আপনার স্নেহ ও সুশাসন আমাদের স্মৃতিপটে চির ভাস্বর হয়ে বিরাজ করবে।
হে মহানুভব,
আজ আপনাকে বিদায় দিতে গিয়ে আমাদের মাঝে কান্নার রোল ধ্বনিত না হলেও আমাদের কণ্ঠ আজ বাষ্পরুদ্ধ; আমাদের চোখ আজ অশ্রু ছল ছল । স্নেহভাজন হিসেবে আমরা আপনার কাছাকাছি ছিলাম। বয়সজনিত চপলতায় হয়ত কখনো মনের অজান্তে আমরা আপনার বিরক্তির কারণ হয়েছি; আমাদের কথায় বা আচরণে হয়ত কষ্ট পেয়েছেন। আজ এ বিদায় লগ্নে আপনার মহানুভবতার কাছে আমাদের দাবি- আপনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।
পরিশেষে আপনার অবসর জীবন হোক অনাবিল সুখ-শান্তিতে সমৃদ্ধ- পরম করুণাময়ের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।
তারিখঃ
আপনার গুণমুগ্ধ
............... কলেজের ছাত্র-ছাত্রী।
বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রী/পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র :-
"ক" উচ্চবিদ্যালয়/কলেজের ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাই-বোনদের বিদায় উপলক্ষ্যে
"বিদায় সংবর্ধনা"
হে বিদায়ী ভাই-বোনেরা,
আজ আমাদের জীবনের এ মধুময় লগ্নে তোমরা এলে বিদায় নিতে। তোমাদের বিদায় বার্তায় ছিঁড়ে যাচ্ছে আমাদের হৃদয়বীণার তারগুলো। আমাদের ব্যথিত মর্মবীণায় বেসুরো হয়ে বেজে উঠছে প্রিয়হারা বেদনার এক করুণ রাগিনী। সেই রাগিনীর সুর যেন বলছে, 'ভুবনের ঘাটে ঘাটে, এক ঘাটে লও বোঝা শূন্য করে দাও অন্য ঘাটে।' শুভ হোক তোমাদের ভবিষ্যৎ। তোমরা আমাদের প্রীতি গ্রহণ কর।
হে বিদায়ী অগ্রজ বন্ধুরা,
তোমাদের প্রানোচ্ছল পদভারে এই বিদ্যাপিঠের আঙিনা ছিল মুখরিত। তোমরা ভুলে যেও না ফেলে আসা স্মৃতিময় দিনগুলো। প্রিয় শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদানের কথা তোমাদের মনে থাকুক অমলিন। বিষণ্ন নয়নে আজ শুধু বলি-
"এ অনন্ত চরাচর, স্বর্গ মর্ত্য ছেয়ে
সবচেয়ে পুরাতন কথা, সবচেয়ে গভীর ক্রন্দন
যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়
তবু চলে যায়।"
হে উদ্যমী পথিক,
তোমাদের বিদায় ব্যথায় আমরা ব্যথিত বটে, কিন্তু অমঙ্গলের অশ্রু ঝরিয়ে শুভ যাত্রাপথকে আমরা অশুভ করতে চাই না। প্রকৃতির অমোঘ বিধান মেনে নিয়ে তোমাদেরকে জানাই সাদর বিদায় সম্ভাষণ। শুধু এ আশা আমাদের- নবজীবনের গান গেয়ে তোমরা জীবনে সৃষ্টি করবে নতন ভুবন। তাইতো কবির ভাষায় হৃদয়ের অনুভূতিতে বেজে ওঠে-
তোমরা চলেছো সুন্দরের পানে খুলিয়া বাতায়ন
জ্ঞান সাগরে খুঁজিয়া পাইতে জীবনের জাগরণ।
হে আলোর পথের যাত্রীরা,
নবজীবনের আহ্বানে, আলোকিত জীবনের সন্ধানে তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ নবদিগন্তের দিকে। দেশ ও জাতির ভাগ্য বিধাতা তোমরা। জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্য, অন্ধকার ঘুচিয়ে তোমরা গড়ে তুলবে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। তাইতো মনের মাঝে আবারও নাড়া দিয়ে ওঠে-
হও সার্থক হে যাত্রী সামনে এগিয়ে চলো
আঁধার কেটেছে, সূর্য উঠেছে চারপাশে দেখ আলো।
তোমাদের পদচারণায় সৃষ্টি হবে নতুন পথ। তোমরা বয়ে আনবে এক আলোক উজ্জ্বল সোনালি প্রভাত।
পরিশেষে পরম স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, সাফল্যে ও ঔজ্জ্বল্যে তোমাদের জীবন যেন হয় জ্যোতির্ময়। তোমাদের ঐকান্তিক প্রয়াসে সমৃদ্ধ হোক দেশ ও জাতি।
তারিখঃ ০৫/০৭/২০১৯ ইং
তোমাদের স্নেহমুগ্ধ
ছোট ভাই-বোনেরা
"ক" উচ্চবিদ্যালয়
* এখানে মানপত্র যেদিন পাঠ/প্রদান করা হবে সেদিনের তারিখ এবং "ক" বিদ্যালয়/কলেজের স্থানে নিজ বিদ্যালয়/কলেজের নাম দিতে হবে। এছাড়াও মানপত্রে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, সংশোধন করা যেতে পারে।
............................. কলেজের অধ্যক্ষ ......................... মহোদয়ের অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে
শ্রদ্ধাঞ্জলি
হে বিদায়ী গুরুজন,ফাগুন বেলা, শোভিত শিমুল-পলাশের বন, কোকিলের কুহুতান। বসন্তের এমনি এক উদাসী ক্ষণে বিদায় নামের বেদনা বিধুর পর্বে আমরা উপনীত হয়েছি। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর নিয়মের বাধ্যবাধকতা আর সময়ের তাগিদে আপনার বিদায় যেনো এক অসহনীয় যন্ত্রণার নির্মম বাস্তবতা। তাইতো বিদায়ের করুণ সুরে আমাদের অন্তর আজ অব্যক্ত বেদনায় ভারাক্রান্ত। আমাদের হৃদয়-মন আজ বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন; আমাদের চোখ আজ অশ্ত্রু ছল ছল। হে শিক্ষাগুরু,নবীনদের অন্তরে শিক্ষার আলো জ্বালাবার মহান দায়িত্ব নিয়ে একদিন যে পথে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিল; অবসর গ্রহণের মাধ্যমে আপনি সে পথের প্রান্তে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু এর মাঝে জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন অগণিত অন্তরে জ্ঞানের স্নিগ্ধ আলো। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে সুনিপুণ হাতে গড়ে তুলেছেন অগণিত জ্ঞানের আধার। আমাদের অগ্রজ হিসেবে অনেকেই আজ শত ক্রোশ দূরে থেকেও আপনার মত মহান কর্মীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের অনুজ হিসেবে আমরাও আপনার প্রতি পরম শ্রদ্ধায় অবনত। হে নিরলস কর্মী,প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালনে আপনি ছিলেন নিরলস কর্মী। তাইতো আপনার প্রতিটি দিন ছিল কর্মমুখর। নিজ দায়িত্বের প্রতি আপনি ছিলেন কর্তব্যনিষ্ঠ। আপনার কর্তব্যনিষ্ঠার সুবাদে আমরা সত্যিকার জ্ঞানের যে সন্ধান পেয়েছি, তা আলোকবর্তিকা হয়ে ভবিষ্যতে আমাদের পথ দেখাবে। আপনার স্নেহ ও সুশাসন আমাদের স্মৃতিপটে চির ভাস্বর হয়ে বিরাজ করবে। হে মহানুভব,আজ আপনাকে বিদায় দিতে গিয়ে আমাদের মাঝে কান্নার রোল ধ্বনিত না হলেও আমাদের কণ্ঠ আজ বাষ্পরুদ্ধ; আমাদের চোখ আজ অশ্রু ছল ছল । স্নেহভাজন হিসেবে আমরা আপনার কাছাকাছি ছিলাম। বয়সজনিত চপলতায় হয়ত কখনো মনের অজান্তে আমরা আপনার বিরক্তির কারণ হয়েছি; আমাদের কথায় বা আচরণে হয়ত কষ্ট পেয়েছেন। আজ এ বিদায় লগ্নে আপনার মহানুভবতার কাছে আমাদের দাবি- আপনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। পরিশেষে আপনার অবসর জীবন হোক অনাবিল সুখ-শান্তিতে সমৃদ্ধ- পরম করুণাময়ের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।