শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ জানার জন্য অনেক গবেষণা হয়েছে এবং চলছে। সাম্প্রতিক ধারণা হলো, প্রস্রাবে দ্রব অত্যধিক ঘন হলে পাথরের কণা বা ক্রিস্টাল তৈরি হয়। এ অবস্থা সৃষ্টি হয় যদি শরীর থেকে প্রতিনিয়ত পানি কমে যায় (ডিহাইড্রেশন)।

পাথর তৈরির প্রধান কারণ ডিহাইড্রেশন। যাঁরা গরম আবহাওয়ায় কাজ করেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, তাঁদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে পাথর তৈরির আশঙ্কা বেশি। তাই মরুভূমিতে, মধ্যপ্রাচ্যের গরম দেশগুলোতে এমনকি আমাদের এই উপমহাদেশের কিছু কিছু স্থানে প্রচুর কিডনি পাথরের রোগী পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রস্রাবে বারবার সংক্রমণ থেকেও পাথর হতে পারে। শরীরের কিছু খনিজ উপাদান, যেগুলো পাথর তৈরিতে বাধা দেয় (ইউরিনারি স্টোন ইনহিবিটরস) সেগুলো প্রস্রাবে কমে গেলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন: প্রস্রাবে সাইট্রেট, ম্যাগনেশিয়াম, জিংকের পরিমাণ কমে গেলে।

আবার শরীরে এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলোর পরিমাণ প্রস্রাবে বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। যেমন: প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে নির্গত হওয়া। যেকোনো কারণে মূত্রপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে এবং মূত্রতন্ত্রে জন্মগত কোনো সমস্যা থাকলেও পাথর তৈরির আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন মেটাবলিক কারণ যেমন: প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির অত্যধিক কার্যকারিতা বা টিউমার রক্তে ও প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। আর এ ক্ষেত্রে দুই দিকের কিডনিতেই অনেক পাথর তৈরি হয়। শিশুদের জন্মগত মেটাবলিক কারণ, যেমন—সিসটিনিউরিয়া এবং জ্যানথিনিউরিয়া কিডনি পাথরের কারণ। পাথর সাধারণত কিডনিতে তৈরি হয়ে প্রস্রাবের নালি এবং মূত্রথলিতে নেমে আসে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ