বদ্ধভাবে হাঁস মুরগির খামার করতে পারবেন। ইসলামে এতে প্রানীর অধিকার ক্ষুন্ন হবে না, এটা ইসলাম সম্মত হবে।
যেসব প্রাণী বা পাখি খাঁচাতেই জন্মায় এবং বড় হয়, কোথাও থেকে ধরে নিয়ে এসে বন্দি করা হয়েছে এমন নয় এসব পালিত পাখিকে নিয়মিত খাবার পানি ও চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করতে পারলে খাঁচায় বা বদ্ধরেখে লালন-পালন করা জায়েজ হবে।
এ ক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা ও যত্ন করতে না পারলে অথবা বন্দি করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাঁচায় আটকে রাখা জায়েজ হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে।
উদাহরণঃ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন, এক নারীকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে বিড়ালটি মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে নারী তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীটপতঙ্গ ধরে খাবে। (বুখারি, হাদিস : ২৩৬৫; মুসলিম, হাদিস : ২২৪২)।
সুতরাং খাঁচায় বন্দি করলে যেসব পাখির কষ্ট হতে পারে, সেগুলোকে খাঁচায় বন্দি না করাই উচিত। কিন্তু বদ্ধভাবে হাঁস মুরগির খামার করতে পারবেন, কেননা এসবের সর্বদা পরিচর্যা করা হবে।