উদ্দেশ্য যদি হয় শুধু স্বামী স্ত্রী যদি একে অপরের লিঙ্গ চুষবে, এতে বীর্য বের না হলে ফরজ গোসল করতে হবে না।
কিন্তু যখন কোন ব্যাক্তি তার কাম স্পৃহা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে স্ত্রীর উপর সমাগম হবে অর্থাৎ দুই লজ্জাস্থান পরস্পর মিলিত হলে গোসল ওয়াজিব হয়ে যাবে।
মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কেউ স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সহবাসের চেষ্টা করে, তখন গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। (সূনান নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা, হাদিস নম্বরঃ ১৯১)।
কেবল বীর্যপাত হলেই গোসল করতে হবে, এ হুকুম রহিতকরণ।
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন কেউ তার স্ত্রীর চার-হাত পায়ের মাঝখানে বসবে এবং তার সাথে মিলবে তখন তার উপর গোসল ফরয হবে। (সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী), অধ্যায়ঃ ৩, হাদিস নম্বরঃ ৬৭০)।
নারীর চার শাখা বলতে তার দুই হাত ও দুই পা বুঝানো হয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেন, নারীর যোনীর চার পাশ। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, নারীর যোনীর মধ্যে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করলে, উভয়ের উপর গোসল ফরয হয়। এক সময় এ সম্বন্ধে সাহাবাদের মাঝে মতানৈক্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে গোসল ফরয হওয়ার উপর ইজমা বা ঐকমত্য স্থাপন হয়ে গেছে।