শ্বাসকষ্ট হয় সাধারণত অক্সিজেনের অভাবে।
যদি আপনার হার্ট দুর্বল হয় তবে হৃদপিণ্ডে সংকোচন প্রসারণে কষ্ট হয় যা আপনার বক্ষ প্রসারনে সমস্যা করে ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।
ডাক্তারি পরীক্ষায় যেহেতু নরমাল। কোন সমস্যা ধরা পড়েনি।
তাই স্পষ্টত তিনটি সম্ভাব্য বিষয় হতে পারে।
আপনি বিশ্লেষণ করে দেখুন কোনটির সাথে মেলে
প্রথমত শারিরীক ভাবে দুর্বলতা, যা খেলা ধুলা, ব্যায়াম বা পরিশ্রম না করার ফলে হয়।
পরিশ্রম একটি জরুরী বিষয়, যদি আপনি কষ্টজনক কিছু না করে সারাদিন বসে থাকেন, মোবাইল বা পিসিতে সারাদিন সময় কাটান তবে আপনার শরীরের কোষ শক্তি উৎপাদন কমিয়ে দেবে। ফলে দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে। এই দুর্বলতা কিন্তু সহজে বোঝা যায়না। মনে হবে আমার গায়ে মেলা জোর, এক ঘুষিতে দেয়াল ভাঙতে পারব। আসলে আপনি ৫ মিনিট দোড়াতেই পারবেন না।
কাজেই যদি এই ব্যাপার হয়। আজ থেকে পরিশ্রম করা শুরু করুন। কাজ না থাকলে দৌড়ান, ফুটবল খেলুন। সম্ভব হলে সাতার কাটুন। পরিশ্রম কম, তবুও যদি সুযোগ বেশি থাকে তবে ব্যাটিং বাদ দিয়া বলার ফিল্ডার হোন
ধুমপানের কারনে শ্বাসকষ্ট হয়। এ অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। অনেক সময় দেখা যায় আপনি ধুমপান করেন না, কিন্তু ধুমপায়ীদের সাথে থাকেন, অথবা যেখানে ধোয়া হয় সেখানে থাকেন, এতে ধোয়া ফুসফুসের ক্ষতি করে, অক্সিজেন কমে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।
যেহেতু রাতে বাড়ার কথা বলছেন তাই খেয়াল করুন যেখানে থাকেন সেই রুমে পযাপ্ত বাতাস যায় কিনা। দেখা গেল বদ্ধ ঘর বাতাস অক্সিজেন যায়না, এতে শ্বাসকষ্ট বাড়ে।
যদি পারেন রক্ত টেস্ট করান। লোহিত রক্ত কণিকা ৫ লাখের চেয়ে কম কিনা। লোহিত রক্ত কণিকা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হয়। এটি এনিমিয়া নামেও পরিচিত।
বেশি বেশি প্রোটিন ও লৌহ জাতীয় খাবার খান, প্রোটিনের জন্য মাছ, ডিম, ডাল বেশি খান, গোস খেতে হবে এমন কথা নেই, ডাল অবশ্যই খাবেন। লৌহের জন্য শাক, বিশেষ করে কচুশাক খাবেন।
আর হ্যা, পলিপাসের কথা বলছেন, এটা নিজেই চেক করতে পারেন। মুখ দিয়া নিশ্বাস নিয়া দেখুন কষ্ট কমছে কিনা, যদি শ্বাস নিতে সহজ লাগে তবে পলিপ বোড় বাধা নয়।
একান্তই যখন ফ্রি টাইম বসে কাটাবেন তখন নিশ্বাসের ব্যায়াম করুন। যোগব্যায়াম করুন। মানে ধীরে ধীরে কিন্তু লম্বা নিশ্বাস নিন, আবার ধীরে ধীরে ছাডুন, একেবারে বুক ফুলিয়ে নিশ্বাস নিবেন।