আসসালামু সম্মানিত পাঠক ভাইয়েরা শিরোনামে যখন ক্লিক করেছেন তবে বিস্তারিত পড়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।


শুরু করছি মহান আল্লাহ তায়া’লার নামে...

আমি গ্রামের নিতান্তই বেকার একটা ছেলে ২০১৫ সালে আমার লেখাপড়ার সম্পাতি ঘটে ক্লাস নাঈনের পরিক্ষার পর ই।

তখন আমার বাবার শরিরের অবস্থা খুবই খারাপ শ্বাসকষ্ট সহ নানানরকম রুগে আক্রান্ত ছিলেন ডাক্তার বলেছে অপারেশন করতে হবে. 

তাই অভাবের টানাপোড়েন এর কারনে আর লেখাপড়া হয়নি।

সংসারের আয়ের উৎস বলতে শুধুই ছিল একটি মুদির দোকান আমরা চার ভাই ই এই একই দোকানে থাকতাম


যাইহোক এভাবেই চলছিল আমার দিনকাল 

অনলাইনের এই যুগে সারাদিন মোবাইল ঘাটাঘাটিটা যেনো অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল।

হঠাৎ একদিন একজন আমাকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এড করে.তারপর এই গ্রুপে কথা বলতে বলতে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়

শুরু হয় ব্যক্তিগত ভাবে চ্যাট করা একজন আরেকজনকে ভালোভাবে চেনা.কথা বলতে বলতে কখন যে আমাদের মাঝে প্রেম হয়েগিয়েছিল বুঝতেই পারিনা

এভাবেই চলছিল ৭ বছর

এই সাতবছরে কতবার যে ব্রেক-আপ হয়েছিল তার কোনো হিসেব নেই

তুচ্ছ জিনিস নিয়ে ঝগড়া লেগে যেতো আমাদের

কিন্তু তার প্রতি আমার আমার প্রতি তার ভালোবাসার যেনো কমতি ছিলনা।


২০১৩ সাল থেকে ২০২০ এ আমাদের সম্পর্ক তখন সাতবছরে পা রাখলো হুট করে আমার ইচ্ছে হলো 

না আমি একটা হালাল সম্পর্ক চাই

হারামে যদিও আরাম তবে হালালে আছে সুখ আর শান্তি

কিন্তু আমিযে একটা নিতান্তই বেকার ছেলে আমাকে কে'ই বা বিয়ে করাবে আর কে'ই বা তার মেয়ে দেবো

বাসায় যখন বিয়ের কথা বললাম তখন প্রথম দিকে নানান অজুহাত দেখালেও পরে কিন্তু সবঠিকঠাক

এইতো গত আগষ্ট মাসে এই করোনাকালে একদম স্বল্প খরচে প্রবিত্র কাজটা সেরে ফেলেছি


আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহ তায়া’লার ইচ্ছায় একজন দ্বিনদার পরহেজগার স্ত্রী পেয়েছি

আর বিয়ের পরই বুঝলাম সত্যিই হালালে শান্তি হালালে বরকত।

আপনারা যারা আমার মতো বেকার অথচ প্রেম নামক হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন দয়া করে বিয়ের চিন্তা করুন 

আল্লাহ তায়া’লা প্রবিত্র কোরআনে বলেছেন যারা অভাবের কারনে বিয়ে করছেনা তিনি তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন

সুবহান আল্লাহ।


প্রথমবার ব্লগ লিখলাম ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন


জাযাকাল্লাহ খাইরান


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে