শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, একাধিক স্রষ্টা বা উপাস্যে বিশ্বাস করা।ইসলামি পরিভাষায় মহান আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি বা বস্তকে শরিক করা কিংবা তাঁর সমতুল্য মনে করাকে শিরক বলা হয়।আল্লাহ তায়লার সাথে শিরক চার ধরনের হতে পারে।যথা-(১)আল্লাহ তায়ালার সও ও অস্তিতে শিরক করা।(২) আল্লাহ তায়ালার গুণাবলিতে শিরক করা।(৩) সৃষ্টি জগতের পরিচালনায় কাউকে আল্লাহ অংশীদার বানানো।(৪) ইবাদতের আল্লাহ তায়লার সাথে কাউকে শরিক করা।
আল্লাহ তায়ালা কোনো প্রাণীকে যতক্ষণ জীবিত রাখার ইচ্ছা করেন ততক্ষণ রিজিক যে কোনো উপায় বা মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছতে থাকে। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, আর মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে। (সূরা বাকারাঃ ২৩৩) আল্লাহ রিজিকদাতা হলেও যেকোন মাধ্যমে আমরা তা পেয়ে থাকি। সূরা বাকারার উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে। এখানে কে খাওয়াচ্ছে বা খাওয়াবে? উত্তরঃ মা। কেননা আল্লাহ রিজিক দিচ্ছেন আর মা মাধ্যম হিসাবে খাওয়াচ্ছেন। জনাব! তাই আপনার প্রশ্ন অনুসারে কেউ যদি বলে চল বন্ধু আজ আমি তোকে খাওয়াব বা আগামি কাল কিন্তু আমাকে খাওয়াবি। এ কথা গুলো শিরকের অন্তর্ভুক্ত নয়।