ঞ্জলী দিয়ে আনন্দ উদযাপন করা হয়। এই উদযাপন হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। সনাতন ধর্মে ১২ মাসই কোন না কোন অনুষ্ঠান পুজা থাকেই, তাই এসকল অনুষ্ঠান সারা বছরই মানুষকে এক আনন্দের মায়াডোরে বেধে রাখে। যা আমাদের মাঝে বৈষম্য ভেদাভেদ কমিয়ে দিয়ে সবার উপরে মানুষ সত্য হিসাবে গড়ে তোলে আমাদের।
খ্রিস্ট ও বৌদ্ধ ধর্ম অনেকটা কম হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে অত্যান্ত আনন্দ বিনোদনের সাথে পালিত হয়। এছাড়া উপজাতীয় দের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নাচ গান সহ বিভিন্ন প্রকার কৃষ্টি কালচার পালিত হয়।
এসকল যাবতীয় ধর্ম মূলত বাংলাদেশের মানুষের মাঝে এক অনাবিল ভালবাসা সৃষ্টি করে, সুখে দুখে, আনন্দে একই মায়ার বাধনে বেধে রাখে এই ধর্মীয় আনন্দ।
ভাষা ও উৎসবের ভূমিকাঃ আমাদের প্রধান ভাষা বাংলা। মাতৃভাষা বাংলা। বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক পর্যায়ের ভাষার রীতি বা টান বা কথনে সামান্য পার্থক্য হলেও বাংলাদেশের সকল স্থানে বাংলা ভাষাই পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ আমাদের দেশে ভাষা গত বৈচিত্র একটু কম। আদিবাসী বা নৃগোষ্ঠির মাঝে ভিন্ন ভাষা দেখা গেলেও তাদের পরিমান খুবই কম।
বাঙ্গালীর ভাষা এক বিখ্যাত অর্জন, এক মাত্র বাঙ্গালী জাতিই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, অর্জন করেছেন স্বাধীনতা।
তাই ভাষা দিবস উদযাপন একটি বড় উৎসব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। এটি রাষ্ট্রীয় উৎসব। সারা বিশ্বই এই উৎসব উদযাপন করে থাকে ২১শে ফেব্রুয়ারী। এই দিন তাই বাঙ্গালীর কাছে অধিকার আদায়ের এক গুরুত্বপূর্ন তাতপর্য বহনকারী দিবস।
যা পৃথিবী সকল মানুষের ভাষা সহ যেকোন অধিকারের বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন করে তোলে।
১লা বৈশাখ বাঙ্গালীর এক বড় উৎসব । এই উৎসবের কোন জুড়ি নেই। এটি আমাদের সকল সাংস্কৃতিকে ধারন করে। তথা ভাষা ধর্ম, মানুষ, আনন্দ, কৃষ্টি কালচার, রীতি নীতি আচার ব্যবহার ইত্যাদি বাংগালীকে এক সাথে বেধে রাখে। তাই ঐক্যবদ্ধ্য বাঙ্গালী জাতি হিসাবে গড়ে ঊঠতে এসকল নানা উৎসবের জড়ি মেলা ভার।
পরিশেষে বলা যায় যায় এসকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিভিন্নতা রীতি নীতি, ভাষা, উৎসব ইত্যাদির নানা বৈচিত্রতা বাঙ্গালী জাতির এক উন্নত মানব ওমানবতার অবতার, হৃদয়বান, প্রেমময়, ভালবাসা ময়, অতিথিপরায়ন জাতি সত্ত্বায় গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের বাঙালী জাতির জীবনে তাই এসকল উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম।