সাধারণত ফেসবুকের স্পিড দুটি কারণে কমে যায়। যথা –
- ইন্টারনেট স্পিড স্লো
- স্মার্টফোন স্লো
১. ফেসবুক লাইট ভার্সন ইন্সটল
আপনার ফোনের র্যাম এবং স্টোরেজ কম থাকলে ফেসবুকের লাইট ভার্সন ব্যবহার করুন। এটা আপনার ফোনের স্টোরেজ এবং র্যাম কম ব্যবহার করবে। যার ফলে, আপনার ফোনে ফেসবুক খুব স্পিডে কাজ করবে।
এছাড়া, ফেসবুকের লাইট ভার্সনটি, ২জি স্পিডেও অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। ২জি এবং কম কনফিগারেশনের ফোনে যাতে হাই স্পিডে ফেসবুক ব্যবহার করা যায়, এজন্যই ফেসবুক লাইট তৈরি করা হয়েছে।
২. ফেসবুক ক্যাশ ও ডাটা ক্লিয়ার করুন
ফেসবুকের ক্যাশ এবং ডাটা ক্লিয়ার করার মাধ্যমে ফেসবুকের স্পিড বৃদ্ধি করা সম্ভব। সব ফোনে ডাটা ও ক্যাশ ক্লিয়ার করা পদ্ধতি প্রায় একই রকম। ফোনের সেটিং থেকে Apps / App Management অপশনে গিয়ে ফেসবুকের ডাটা ও ক্যাশ ক্লিয়ার করতে পারবেন।
৩. ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ বন্ধ রাখুন
অধিকাংশ সময় ফেসবুক স্লো হওয়ার প্রধান কারণ ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালু থাকা। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ আপনার র্যাম ও ইন্টারনেটের অধিকাংশই ব্যবহার করে ফেলে। ফলাফল হিসাবে আপনার ফেসবুক অ্যাপ স্লো হয়ে যায়।
বর্তমানের প্রায় সকল ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করা যায়। এছাড়া, Force Stop করে রেখে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো সবসময় বন্ধ রাখতে পারেন।
৪. ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন
পূর্বে উল্লেখ করেছি, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালু থাকলে ফেসবুক স্লো হয়ে যায়। স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে নানা রকম অ্যাপ চালু থাকলে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ বন্ধ বা ইন্টারনেট লিমিট করে দিতে পারেন। এই চমৎকার সুবিধা পাবেন ডাটা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে। এছাড়া এ-অ্যাপ ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন, কোন অ্যাপ কত বেশি ডাটা খরচ করছে।
বর্তমানের অধিকাংশ স্মার্টফোনে ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ রয়েছে। আপনার ফোনে যদি না থাকে, তাহলে নিচের ৪টি অ্যাপের যে কোনও একটি ব্যবহার করতে পারেন।
৫. অব্যবহৃত অ্যাপ ডিলিট করুন
অব্যবহৃত বা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ফোনে না রাখাই উত্তম। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিজিটাল আবর্জনা। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করার মাধ্যমে আপনার ফোন হয়তো খুব একটা ফাস্ট হবে না, কিন্তু আপনার স্টোরেজ এবং র্যাম অনেকটা ফাঁকা করবে।
৬.অ্যাড বন্ধ রাখুন
অ্যাড লোড হওয়ার জন্য অধিকাংশ সময় অতিরিক্ত ইন্টারনেট এবং ফোনের শক্তি খরচ হয়। যদিও বর্তমানের বাজেট বা ফ্লাগশীপে ফোনে এই অ্যাড তেমন কোনও প্রভাব ফেলে না। কিন্তু আপনার ফোন যদি পুরাতন হয়, তাহলে অ্যাড বন্ধ রাখতে পারেন।
তবে, মনে রাখবেন অ্যাড বন্ধ করে রাখার অর্থ, আপনি অ্যাপ নির্মাতা বা ওয়েবসাইট মালিকদের আয়ের উৎস বন্ধ করে দিচ্ছেন। আপনার সাময়িক প্রশান্তি আসলেও ভবিষ্যতে ফ্রিতে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কেননা অর্থের অভাবে তাদের ফ্রি কাজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
৬. ডাটার পরিবর্তে ওয়াইফাই ব্যবহার করুন
যদি আপনার ফোনের ডাটা ২ জি বা স্লো হয়ে থাকে, তাহলে ব্রডব্যান্ড তথা ওয়াইফাই ব্যবহার করুন। আর ২জি ডাটা হলে ফেসবুক লাইট ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
এই ছিল আজকে স্মার্টফোনে ফেসবুকের স্পিড বাড়ানোর সহজ উপায়। উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি যে কোনো অ্যাপের স্পিড বৃদ্ধি করতে পারবেন। অনেকে স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য ক্লিনার বা বুস্টার নামক বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। আপনার স্মার্টফোনকে ভাল রাখতে, এসব ক্লিনার বা বুস্টার অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ রাখুন।