শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দেনাপাওনা রবীন্দ্রনাথের লিখা।এই গল্পের সংক্ষিপ্ত ঘটনা উল্লেখ করা হল।রামসুন্দর এর ছেলেমেয়ের মধ্যে নিরুপমা ছোট।তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে রায় বাহাদুরের  ছেলের সাথে।বিয়েতে নগত ১০ হাজার টাকা পণ চেয়ে বসল রায় বাহাদুর।রামসুন্দর এই পুরো টাকা যোগাতে পারল না।তিনি খুব কষ্টে ৩ হাজার টাকা যোগাল।কিন্তু রায়বাহাদুর এতে অসম্মতি জানায়।তার ছেলে বিয়ে থেকে উঠে না যেতে চাওয়ায় বিয়ে সম্পন্ন হল।বিয়ের পরেই নিরুপমার স্বামী বিদেশ যান।তাকে তার শশুড় বাড়ীতে কষ্টে থাকতে হত কারন সে পণ আনেনি।তাকে নির্যাতন করা হত।রামসুন্দর তার মেয়েকে দেখতে গেল।সেখানে গিয়ে অপমান হয়ে ফিরে আসল কারণ সে পুরো পণের টাকা নিয়ে যায় নি।রামসুন্দর পণের টাকা যোগানোর জন্য তার বাড়ীভিটা বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নিল।এই কথা তার ছেলেরা জানতে পেরে তার বাবাকে ধমক দিল।এভাবে অনেক দিন কেটে যাওয়ায় নিরু অন্যদের মাধ্যমে তার বাবাকে আসার জন্য খবর পাঠাল।কিন্তু কোন খবর পাওয়া গেল না।নিরুর খুব মান চাচ্ছিল তার বাবাকে দেখতে।তার বাবারও তাই।তাই পূজার সামনে রামসুন্দর ভাবল এইবার নিরু কে বাড়িতে আনবই।এই উদ্দেশ্যে সে গোপনে তার বসত ভিটা বন্ধক রাখল।এবং মোট ৬ হাজার টাকা যোগার হল।বড় মুখ করে সে তার মেয়ের বাড়িতে গেলে তাকে দেখে তার মেয়ে চোখের জল আটকাতে না পেরে কান্না করল।কিন্তু নিরু কিভাবে যেন জানতে পেড়েছ যে তার বাবা তার পণের টাকা বাড়ী বন্ধক রেখে এনেছে।নিরু এই টাকা তার শশুড় কে দিতে নিষেধ করল।এবং বলল আমাকে যতই কিছু করুক না কেন তুমি এই টাকা দিবে না।কিন্তু রামসুন্দর তার মেয়ের কথা না মেনে তার শশুড়কে হাসিমুখে দিতে গেল।তার শশুড় বলল এই সামান্য জিনিস নিয়ে হাত নষ্ট করব না এবং আপমান হয়ে বেরিয়ে গেল।এই বার ও রামসুন্দর তার মেয়েকে আনতে পারল না শুধু পণের টাকার অভাবে।নিরু শাশুড়ির অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত মারা গেল।বিদেশ থেকে তার স্বামী চিঠি পাঠাল যে আমি অতি শীঘই বাড়ী যাচ্ছি।নিরু কেম্ন আছে?তার বাবা মা উত্তরে দিল তোর জন্য আরেকটি বিয়ে ঠিক করেছি পাক্কা ২০ হাজার টাকা নগদ পণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ