আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু অনেকেই বলে থাকে ঢাকার বাইরে যাওয়া মানেই পিছিয়ে পড়া। ঢাকার বাইরে পাবলিক এ পড়ার থেকে ঢাকার ন্যাশনাল এ পড়াও ভালো ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন কি করবো??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
লোক এর কথায় কান না দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হয়ে যান ,।  পড়া লিখা আপনার কাছে ঢাকা  বা ঢাকার বাইরে  এটা কোন বিষয় না ।  যে সুযোগ পেয়েছেন তা কাজে লাগান , না হলে ভবিষ্যৎ এ আফসোস করবেন ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আসলে এমন একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা মতামত দেওয়াটা আসলেই অনেক কঠিন। আমি আপনাকে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলবো, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই।

এডমিশনের সময় কোথাও চাঞ্চ না পেয়ে যখন অনেক হতাশ হয়ে পড়েছি তখন বাসা থেকে বলা হলো যে তাহলে জাতীয়তেই এপ্লাই করো। ভর্তি হও। আমি বললাম যে, আর যাই হোক জাতীয়তে ভর্তি হবো না। প্রয়োজনে ইসলামী ভার্সিটিতে ভর্তি হবো। আল্লাহর ইচ্ছায় আমি নিজেও ২০০৬ সালে ইসলামী বিশববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সাবজেক্টটা অনেক ভালো হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রথম দিন ক্লাসের পরে আর ক্লাস করিনি, এবং সেই দিনই চলে এসেছি। কারণ এইটা না যে ইসলামী ভার্সিটি খারপ। আমাদের সময় সেকেন্ড টাইম সুযোগ ছিলো আমি আবার চেষ্টা করবো সেই জন্য।

এখন কথা হলো, আমি সেখানে কিছুদিন থেকে তৎকালীন যেই বড় ভাইয়াদের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তারা অনেক ভালো জায়গাতে সার্ভিস করছেন এখন। আমার কাছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই এগিয়ে। তবে ঢাকা থেকে চলে যাওয়া মানে পিছিয়ে পড়া এইটা এমন বিষয় যে আপনি আধুনিকতার ছোয়া গুলো থেকে একটু ছিটকে পড়ে যাবেন, কিন্তু এর মানেই এই না যে আপনি ব্যাকডেটেড হয়ে গেলেন। পিছিয়ে পড়ার কিছুই নেই, আমি নিজেও বাইরে থেকে আসা। নিজেকে পিছিয়ে পড়া মনে হয়নি কখনো। এইটা আপনার উপরে নির্ভর করবে। তবে আপনি যদি ঢাকা থেকে সেখানে যান আপনার বারবার এটাই মনে হবে যে, এ কোথায় আসলেম, ঢাকায় অনেক ভালো ছিলো। এইটা আপনি আমেরিকাতে গেলেও মনে হবে, যে ঢাকায় ভালো ছিলো।

তবে ন্যাশনাল বলুন আর পাবলিক বলুন, আপনি যেখানেই যান সেখান থেকেই আপনার ভালো করার সুযোগ থাকে। ন্যাশনাল এ পড়ে বা ডিগ্রী করে প্রিভিয়ার্স মাস্টার্স করেও অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব। আমি সহজ কথায় এটা বোঝাতে চাইছি, আপনি যেখানেই যান আপনার ক্যারিয়ারের জন্য আপনাকে সেখানেই ভালো করতে হবে। ৪ বছরের জন্য পিছিয়ে পড়ে যদি আমার ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয় তাহলে আমি ৪ বছরের পিছিয়ে পড়াকেই গ্রহণ করবো।

তবে যাই করেন, সিদ্ধান্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই ভেবে চিন্তেই নিবেন আশা করি। (তবে আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারেই পজিটিভ)


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ