আমাকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ। আমার শরীরত আর আমি বানাইনাই। আমার নিজের যদি বানানোর ক্ষমতা থাকত তাহলেত কুন ত্রুটি রাখতাম না। তাহলে আমার এই ত্রুটির জন্য আমি অপমানিত কেন হই? অপমানিতত হবে যিনি আমাকে বানাইছেন তিনি। আমার শরীরে বা চেহারায় কুন ক্রুটি থাকলে দ্বায়ী কে? আমি নিজে নাকি আল্লাহ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চেহারার কারনে মানুষ অপমানিত হয়না, চরিত্রের কারণে মানুষ অপমানিত হয়,,,, আচছা ভাবুন এখন আপনি মরে গেলেন আপনার মাবাবা আপনার জন্য কান্না কাটি করতাচে বাবারে আমাাদেরকে ছেড়ে তুই কিভাবে চলেগেলি,,, একটু চিন্তা করুন আপনার হাত পা সবিইত আপনার এই দেহর মধ্যে আছে,, তহলে আপনার মাবাবা কেন বলচে আপনি তাদেরকে ছেড়ে চলেগেচেন,, কেন আপনি তাদের সাথে কথা বলতে পারচেন্না,,,,কারণ আপনার দেহে আপনার আত্মা নাই তাই আপনি তাদের সাথে কথা বলতে পারচেননা,,,, আপনার আত্মা যদি কুকুরের মধ্যে দিতো তহলে আপনাকে কুকুরের মত চলতে হত,,,,কত্ত ভালোবাসে আল্লাহ আপনাকে, অন্ধ করে পৃথীবিতে দেন্নি, ,,পৃথিবী ক্ষনিক সময়ের জন্য দুনিয়ার সুন্দর সুন্দর নারীরা হয়ত প্রপোজ করেনা আখেরাতের হুর পরিরা প্রপোজ করবে আল্লাহর উপর ইমান আন, নামাজ পড় চারদিকে তাকিয়ে দেখ তোমার থেকে কুৎসিত লোক আছে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার জন্মগত দৈহিক ত্রুটির জন্য আপনি দায়ী নন। এবং আল্লাহও দায়ী নন। কারণ আল্লাহর কাজে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সব দায়বদ্ধতা সৃষ্টির। স্রষ্টার নিকট সৃষ্টির দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে কিন্তু সৃষ্টির কাছে স্রষ্টার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তিনি তার সৃষ্টিকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সৃষ্টি করবেন। এতে কারো কোনো কথা বলার অধিকার নেই। তিনি যদি কাউকে কষ্ট দেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো রূপ অভিযোগ করা যাবে না। অভিযোগ করলেই ঈমানের উপর আঘাত চলে আসবে। আমাকে কিভাবে সৃষ্টি করলে আমার কল্যাণ হবে সেটা আল্লাহ ভাল বুঝেন। আমি বুঝি না। কারণ আমার জ্ঞান তো সসীম। আর আল্লাহর জ্ঞান অসীম। সসীম জ্ঞান বা উপলব্ধি দ্বারা অসীম জ্ঞানের কলা কৌশল আয়ত্ব করা সম্ভব নয়। আমার নিকট বিষয়টা হয়তো কষ্টকর বা আপমানকর মনে হবে। কিন্তু এর অন্তরালে যে প্রভুত কল্যাণ নিহিত রয়েছে সেটা আমি বুঝি না। বিপদ আপদ দুঃখ কষ্ট এগুলো আল্লাহ মানুষকে দেন মূলত পরিক্ষা করার জন্য। আল্লাহ দেখতে চান, বান্দা এ বিপদের কালে আমাকে কতটুকু স্বীকার করে। আপনার জন্মগত দৈহিক ত্রুটির কারণে যদি আপনি অপমানিত হন তাহলে এতে আপনার পুণ্যের পাল্লা ভারি হচ্ছে। উপরন্তু যারা আপনাকে অপমান করছে তাদের পাপের পাল্লা ভারি হচ্ছে। এখানে মূলত দুটি পক্ষেরই পরিক্ষা হচ্ছে। এর রিজাল্ট আউট হবে পরকালের বিচার দিবসে। সুতরাং এ নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। এ ব্যাপারে আল্লাহকে দায়ী করতে গেলে আমি পরিক্ষায় অকৃতকার্য হব, আমার প্রতিভার দুর্বলতা ফুটে উঠবে এবং আমার সাধের ঈমানটা নষ্ট হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ