সহজ, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হচ্ছে ইনজেকশন। এটি ৩ মাস মেয়াদি। কার্যকারিতার হার শতকরা ৯৮ থেকে ৯৯ ভাগ। এটি ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু পরিপক্ব হতে বাধা দেয়, জরায়ুর মুখের রসকে ঘন ও আঠালো করে, যাতে শুক্রাণু প্রবেশ করতে না পারে এবং জরায়ুর ভেতরের আবরণকে গর্ভসঞ্চারের অনুপযোগী করে গড়ে তোলে। হাত বা নিতম্বের গভীর মাংসপেশিতে মাসিক শুরু হবার ৭ দিনের মধ্যে ইনজেকশন নিতে হয়। যারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন কিংবা প্রতিদিন মনে করে বড়ি খেতে অসুবিধা বোধ করেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী। এটি গ্রহণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, অনেক দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব যেতে পারে, এ পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার ৬ থেকে ১২ মাস পর মাসিক ফেরত আসতে পারে। তবে নির্দিষ্ট করে কবে শুরু হবে তা অনেক ক্ষেত্রে বলা যায় না। এই ইঞ্জেকশন আপনি সরকারী হাসপাতালে পাবেন।
বিয়ের পর জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে কনডম ব্যবহার করতে পারেন|স্বল্পকালীন জন্মবিরতিকরণ হিসেবে নিয়মিত পিল খাওয়াতে পারেন|এই পিল খাওয়ালে গর্ভবতী হবে না|এই পিল খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না|তাছাড়া মাসিকে আগে ও পরে ৭ দিনের মধ্যে মিলন করলে গর্ভবতী হয় না|এই সময়কে নিরাপদ সময় হিসেবে ধরা হয়|এছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি গ্রহন না করাই উত্তম|