স্বপ্ন দোষ হওয়া ভাল তবে বেশি হওয়া ক্ষতিকর স্বপ্ন দোষ
থেকে মুক্তি পাবার উপায় হল। আসলে
আমাদের দেশের তরুণ-যুবকরা সঠিক
সময়ে যথাযথ যৌন শিক্ষাটা না পাওয়ার
কারণে এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে
বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তার উপর আবার
রাস্তাঘাটে কিছু হার্বাল নামধারী ঔষধ
বিক্রেতা নানা প্রকার ভয় দেখিয়ে
তাদের আরো বিভ্রান্ত করে তুলে ।
একটি বিষয় মনে রাখবেন স্বপ্নদোষ
হলো প্রতিটি পুরুষের একটা প্রাকৃতিক
এবং স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে আপনার
দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। প্রতিটি পুরুষ
তাদের দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে
বীর্য পেয়ে থাকে এবং বীর্য
থলিতে যখন মাত্রাতিরিক্ত বীর্য জমা হয়
তখন বাকিটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে
বের হয়ে যায়। এই ঘটনা না ঘটলে
আপনার মাথা ভারী মনে হবে এবং
অন্যান্য কাজ কর্ম করতে ততটা
মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই
এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি সিস্টেম।
স্বপ্নদোষ যদি সপ্তাহে ১ বারের
অধিক এবং মাসে ৫ বারের অধিক হতে
থাকে তাহলে এটা রোগের পর্যায়ে
পড়ে যাবে। তখন এর যথাযথ চিকিত্সা
নিতে হবে। কিন্তু আপনার যদি
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং রাতে গুরুপাক
খাবার খেয়ে ঘুমান তাহলেও আপনার
স্বপ্নদোষ হতে পারে।
এক্ষেত্রে রাতে হালকা প্রকৃতির
সহজে হজম হয় এই রকম খাবার গ্রহণ
করতে হবে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য
থাকলে তা দূর করতে প্রতিদিন সকালে
ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান
করতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য ক্রনিক
হলে হোমিও চিকিত্সা নিন, এর থেকে
মুক্তি পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
যদি মনে হয় আপনার অধিক
স্বপ্নদোষ হচ্ছে এবং তা রোগের
পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছে তাহলে ভালো
একজন হোমিওপ্যাথের সাথে
যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট
নিন, কিছু দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে
যাবেন আশা করি।
অনেকে স্বপ্নদোষ মারাত্মক
রোগ বলে মনে করেন,আসলে এটা ঠিক নয়
আমাদের টেস্টিকলে বীর্য প্রতিনিয়ত উৎপন্ন হচ্ছে।
যার কারণে বীর্য থলি পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
আর সেগুলো কমানোর করার দরকার পড়ে।
তাই শরীর নিজে নিজেই এগুলোকে শরির
বের করে দেয়। সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে,
পায়খানা, অথবা প্রস্রাবের সাথে শরির সেই
বাড়তি বীর্য বের করে দেয়।
মাসে 4/6 বার সপ্নদোষ হওয়া সাভাবিক।
যা শরিরের জন্য উপকারী।
তবে বেশি মাত্রা বা সপ্তাহে দু বারের বেশি
সপ্নদোষ হলে সমস্যা বলে বিবেচিত হবে।
√√স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে
*মুক্তির পথ ও পদ্ধতির মধ্যে প্রথমটি হল
নিজের খেয়াল ও ধ্যান ধারণাকে সব সময়
পাক সাফ রাখবেন। নিজের মনকে নিজের
আয়ত্বে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ।
*শেষ রাতে প্রসাবের বেগ হলেই উঠে প্রসাব
করে
নিবেন স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা
কোন প্রকার খারাপ চিন্তা মনে আনবেন না।
*প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা
খাওয়ার অভ্যাস করুন।
*আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমান।
√√সমাধান না হলে হামদর্দের জারনাইড
সিরাপ খেতে পারেন।