ঘুম সমস্যার 90% ই দায়ী মানসিক বিভিন্ন দুঃচিন্তা, অবসাদ হতাশা, ইত্যাদি।
ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম দুটিই ঘুম
উদ্রেককারী খাবার। একারনেই ঘুমুতে
যাওয়ার পূর্বে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ পান
করুন। আপনার ঠিক মতো ঘুম হচ্ছেনা
বিধায় শারীরিক উপসর্গ গুলো দেখা দিচ্ছে
ঘুম সমস্যা সমাধানের জন্য একজন
সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ
খেতে হবে।
আমার মতে , যারা Face Book বা Internet এর বিভিন্ন
যোগাযোগ সাইট ব্যাবহার করে তাদের ৮০ % মানুষই
রাতে ঘুমান না । তারা রাত জেগে থাকেন । তারা
চাইলেও ঘুমাতে পারেন না । আমি নিজেও ঘুমাই না ,
ভোর সকালে ঘুমাই । কিন্তু এটা আমার সমস্যা না ।
আমি আমার ঘুমকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি । যে
কোন সময় চাইলে , যে কোন জায়গায় ঘুমাতে
পারি । ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হলেও , সত্যি ।
আমাদের জীবনের অন্যতম সমস্যা এখন ঘুমের
সমস্যা । নিজের ঘুম নিয়ন্ত্রন করা এবং চোখে ঘুম
আনার অনেক উপায় আছে । আমি কিছু উপায়
আলোচনা করছি ।
প্রথমে আপনাকে ঘুমাতে হবে এমন চিন্তা ধারা বা
পরিকল্পনা মাথায় আনতে হবে । ঘুমাতে যাওয়ার সময়
দুনিয়ার সকল চিন্তা মাথায় না রাখাই ভালো । আপনার
একটাই চিন্তা থাকা উচিত যে আপনি ঘুমাতে যাচ্ছেন ।
আপনার মনকে সাজেশন দিবেন যে আমি এখন
ঘুমাব । খুব শান্তির একটা ঘুম দিব । ঘুমাতে যাওয়ার দুই
ঘন্টা আগে ধূমপান , চা কফি না খাওয়াই ভালো ।
অনেকেই বলতে পারেন যে , আমি ধূমপান ছাড়া
ঘুমাতেই যেতে পারি না । তারা খেয়াল করবেন যে
আপনারা ঘুমাতে গেলেও আপনাদের ঘুম আসে
কিছুটা দেরীতে । আপনার মোবাইল অথবা টিভি
দেখা বন্ধ করতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা
আগে । তারপর ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গিয়ে খুব
শান্তির সাথে শুয়ে পড়ুন । চোখ বন্ধ করে
নিজেকে সাজেশন করুন যে , আমি এখন ঘুমাব ।
আমার শরীর এখন ঘুমের জন্য প্রস্তুত । আমি
ক্লান্ত । রাজ্যের সকল ঘুম আমাকে ঘিরে
রেখেছে । তারপর যতটা পারা যায় শরীরকে
প্রশান্ত করে বিছানায় শরীরকে এলিয়ে দিতে
হবে ।
অনেকের পাঠ্যবই হাতে নিলেই ঘুম চলে আসে
। তাই , এই সুযোগটা নিতে পারেন । যাদের ঘুম
আসে না তারা নিজের পাঠ্যবই অথবা কবিতার বই হাতে
নিয়ে পড়তে পারেন । কিছুক্ষনের মাঝেই আপনার
স্বাভাবিক ঘুম চলে আসবে ।
তারপরও যারা নিদ্রাহীনতায় আছেন তারা একটা
সাইকোলজিকাল পন্থা অবলম্বন করতে পারেন ।
সংক্ষেপে তা আলোচনা করছি । আমরা অনেকেই
জানি এই সাধারন উপায়টা । চোখ বন্ধ করে ১০০
থেকে ১ পর্যন্ত আস্তে আস্তে মনে মনে
গুনেন । আসা করি এক এ আসার অনেক আগেই
আপনার সুনিদ্রা চলে আসবে । আমি এ পদ্ধতি ব্যাবহার
করে সুফল পেয়েছি ।
যাদের ঘুমের সমস্যাটা আরো গভীর তারা একই
পদ্ধতি আরেকটা উপায়ে পরিচালিত করতে পারেন ।
সংক্ষেপে উপায়টা তুলে ধরলাম – প্রথমে চোখ
বন্ধ করে নিজেকে ঘুমাতে হবে এমন সাজেশন
করুন । আপনি যা করছেন সব -ই চোখ বন্ধ করে
কল্পনায় । আপনার কল্পনায় একটা ব্লাকবোর্ড আনুন
। একটা সাদা চক এবং একটা ডাস্টার হাতে নিন । এবার
একটা মাঝারি সাইজের বৃত্ত আঁকুন ব্লাকবোর্ডে ।
এবার বৃত্তের মাঝে একটা ক্রশ ( >< ) চিহ্ন আঁকুন ।
চিহ্ন আঁকা শেষে মাঝখান থেকে (><) চিহ্নটা মুছে
ফেলুন ডাস্টার দিয়ে । খেয়াল রাখবেন বৃত্ত যেন
না মুছে যায় । তারপর বৃত্তে লিখুন ১০০ । লেখা
শেষে লেখাটার দিকে ভালোভাবে তাকান । এবার
আবার মাঝখান থেকে লেখাটা আস্তে আস্তে
মুছে ফেলুন ডাস্টার দিয়ে । তারপর লিখুন ৯৯ । আবার
আগের মত , আগের নিয়মে ৯৯ লেখাটা মুছে
ফেলুন । এভাবে ৯৯ , ৯৮ , ৯৭ , ৯৬ , ৯৫ . . . লিখুন
আর মুছতে থাকুন । আসা করি , আপনার খুব তাড়াতাড়ি ঘুম
চলে আসবে । পদ্ধতিটা একটু কঠিন মনে হলেও
আপনার ঘুমের জন্য খুবই উপকারী । পদ্ধতি চলার
এক পর্যায়ে দেখবেন আপনার গভীর ঘুম চলে
এসেছে ।
যারা পদ্ধতিটা জটিল মনে করেন তারা শুয়ে শুয়ে
চোখ বন্ধ করার পর যে অন্ধকার দেখতে
পাবেন , সেই অন্ধকারের গভীরে ঢুকার চেষ্টা
করবেন । যতই অন্ধকারের গভীরে ঢুকার চেষ্টা
করবেন ততই আপনার চোখ ভারী হতে শুরু হবে
এবং এক পর্যেয়ে আপনার ঘুম চলে আসবে ।
উপরের পদ্ধতি গুলো আসা করি যারা নিদ্রাহীনতায়
আছেন তাদের জন্য । আসা করি যে কোন
পদ্ধতিতে আপনার খুব সুন্দর একটা ঘুম চলে
আসবে । আমার এই লেখাটা আপনার সুন্দর একটা
ঘুমের শুভ কামনায় । যার ভালো ঘুম হয় , সেই প্রকৃত
সুখী মানুষ । একটা হাস্যকর প্রবাদকে ঘুরিয়ে বলা
যায় – ঘুম নাই যার , পোড়া কপাল তার ।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য । আপনার ঘুমের
সময়টায় অনেক সুন্দর ঘুমে কাটুক বাকি জীবন এই
শুভ কামনা ।