তালাক কেন সবচেয়ে ঘৃনিত হালাল
ইসলামে ত্যাজ্যপু্ত্র নেই । হিন্দুধর্মে আছে কেননা ইহা অতি অমানবিক । এতে পু্ত্র-কন্যারা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় । যা কুরআনে বর্নিত মিরাস বা ওয়ারেশ বিরোধী ।
তবে ইসলামে তালাক (ত্যাজ্য স্ত্রী) বৈধ । জায়েজ হলেও এটি সবচেয়ে ঘৃনিত হালাল কাজ । মানে এর চেয়ে ঘৃনিত আর হালাল কিছু নেই ।
তাহলে স্বামী-স্ত্রী মিল না হলে কি করবে ?
বহিস্কার করবে । প্রয়োজনে আজীবন বহিস্কার করবেও তবুও তালাক নয় । কেননা তালাক (ত্যাজ্য স্ত্রী ) হালাল হলেও এটি এতোই অমানবিক যে হারামকে হার মানায় । যেমন : আলী(রা) বর্নিত তালাকে আল্লাহর আরশও কেপে উঠে ।
কেন তালাক নয় ?
আপনি সম্পর্কের শেষ চান । মানে স্ত্রীকে আর চান না । তাহলে তাকে বহিস্কার করুন । আপনার সাথে মিল দিতে আসলে তাকে জুতা দিয়ে পিঠান ।তবুও তালাক নয় । তালাক অনেকটা ত্যজ্যপুত্রের ন্যায় বর্জনীয় । কেননা এতে স্ত্রী সর্ম্পকের সাথে সম্পত্তির ওয়ারিশ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যায় । যা কুরআন বিরোধী । কারন কুরআন তো স্ত্রীকে ওয়ারিশ দেয়ার কথা বলে । আবার স্ত্রী গরীব হলে তাকে রাস্তায় নামতে হবে । নিজের সন্তানের মতো স্ত্রীও কুরআনে বর্নিত সম্পত্তির ওয়ারিশ ।
কুরআনে স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর অধিকার :
১/৪ ভাগ, যদি কোন সন্তান না থাকে।
১/৮ ভাগ, যদি সন্তান থাকে।
হ্যা আপনি যদি সম্পত্তি দিয়ে তারপর তালাক দেন । তাহলে তা অনেকাংশেই মানবিক হয়ে যায় । তারপরও সর্ম্পকের হক্ব নষ্ট করলেন ।
বি:দ্র : যেহেতু পুরুষরা তালাক দেওয়া ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করতে পারে তাহলে তালাক দিয়ে আল্লাহর আরশ কাপানোর দরকার কি ?
তালাক দেওয়ার আগে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন আপনার স্ত্রী ঠকল(ক্ষতি হলো) কিনা ?
হ্যা । ইসলামে কারো অপকার করা বা ঠকানো হারাম ।
ধরেন আপনি একটি মেয়েকে বিয়ে করলেন । তারপর মিল না হওয়ায় তালাক দিলেন । তাহলে মেয়েটির দুটি ক্ষতি হলো ।
একটি হলো । তার স্ট্যাটাস নিচে নেমে গেলো । মেয়েদের একটি বিয়ে ভেঙ্গে গেলে আরেকটি কঠিন । আপনাকে বিয়ে না করে যদি আরেকজনকে করতো তবে হয়তো মেয়েটি এতো লসের মধ্যে পড়তো না । হয়তো আপনার অমানবিকতার কারনেই মেয়েটির এতো ক্ষতি হলো ।
অপরটি হলো মেয়েটি সম্পত্তি থেকে সম্পূর্ন বর্জিত হলো অনেকটা হিন্দুধর্মের কুপ্রথা ত্যজ্যপুত্রের ন্যায় । যা জঘন্য । মানবতা বিরোধী ।
হ্যা ।তারপরেও ইসলামে তালাককে বৈধ রাখা হয়েছে বিশেষ কারনে । ধরেন :আপনার স্ত্রী তালাক চাচ্ছে ।অথবা খুন, ব্যভিচার কিংবা গুরুতর অপরাধ করেছে ।
অথবা ব্যাপরটি এমন দাড়ালো যে তালাক হলে উভয় পক্ষ রাজি ও উভয় পক্ষের লাভ । তাই তালাকের অপশনটি রাখা হয়েছে । তারমানে কুরআনে তালাক বৈধ করেছে মানুষের উপকারের জন্যে কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করার জন্যে নয় । তাই তালাক দেওয়ার আগে ভাবুন