ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় আধা কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন অল্প পানিতে। সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন। সকাল শুরু করুন বাদাম ও কিসমিসের সাথে। বাচ্চাদের জন্যও এটা খুব ভালো একটা খাবার।
খাবারের পরিমাণ বাড়ান-
খাবারের পরিমাণ বাড়ানো মানেই হাপুস হুপুশ করে একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আর সেটা সম্ভবও নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।
বারবার খাওয়া খান
খাদ্য তালিকায় রাখুন ডুবো তেলে ভাজা খাবার-
ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির সালাদ।
খান “বসা” ভাত-
“বসা” ভাত বলতে বোঝায় যে ভাতে মাড় ফেলা হয় না। মাড় ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় মাড়ের সাথে। ওজন বাড়াতে চাইলে এই মাড় না ফেলাই ভালো। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চাল বা পোলাও চালের বসা ভাত মজাও লাগবে খেতে।
ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু-
ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই বেশ পুষ্টিকর কিছু খাবেন। আর খিদে পেলে তো আয়েশ করে পেট পুরে খেয়ে নেবেন। আর সাথে সাথেই ঘুম। ফলে খাবারের ক্যালোরিটা খরচ হবার সময় পাবে না, বাড়তি ওজন হিশাবে জমবে শরীরে। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন।
কমান মেটাবলিজম হার-
মোটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।
খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কিছু বিশেষ খাবার-
আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।
খান প্রচুর শাক সবজি ও ফল-
ভাবছেন এগুলো তো ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি। ফল ও সবজি খেলে স্বাস্থ্য জম্ন ভালো থাকবে, তেমনি ওজনও বাড়বে।
সাথে সিরাপ সিনকারা খেতে পারেন 6 চা
চামুচ করে দিন দুইবার।
মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়------>>>>
মোটা হবার অব্যর্থ্য ঔষধ হচ্ছে আতপ
চালের ভাতের মাড় এবং পাতলা করে
রান্না করা সুজি। একমাসের মধ্যে মোটা
হবেন, আপনার কোলেষ্টরেল বেড়ে যাবে
তখন দেখবেন মেলা অসুখ আমন্ত্রিত হয়ে
আপনার দেহে স্থায়ী বাসা বাঁধছে। তখন
আবার চিকন হতে চাইবেন! তাই এই মোটা
চিকন যুদ্ধে না গিয়ে যদি পারেন তো সুস্থ্য
থাকার চেষ্টা করুন
খাওয়াদাওয়া একটু পরিবর্তন করুন--
একটু ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে হলে বসা ভাত রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খাবেন না । রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম অথবা মাখন সহ খান । প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম দুধ খান । দিনে ২ টি ডিম খান । অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন । খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন । এবার আসুন এক্সারসাইজে, জিমে গিয়ে কখনই ব্যায়াম করবেন না।হাল্কা ব্যায়াম করুন ।দৌড়ান , সাইকেল চালান, সাতার কাটুন । অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না ।
ভাই আমিও তোমার মতো চিকন ছিলাম।কিন্তু এখন আমি ভাল স্বাস্হবান।এই স্বাস্হবান হওয়ার জন্য যে কাজগুলো করলাম।তাই আপনাকে বলব।প্রথমত বলি,স্বাস্হবান হওয়ার আকাংক্ষা সবারই থাকে।কিন্তু এই আকাংক্ষার বসবর্তি হয়ে কোন মোটা হওয়ার ঔষধ সেবন করবেন না।কারন এগুলো যতদিন খাবেন ততদিন ক্ষুদা বৃদ্ধি পাবে,আবার ছেড়ে দিলে আরো স্বাস্হ্য কমে যাবে।তা হলে যা করবেন। ১)আপনার খাওয়া দাওয়া বৃদ্বি করুন।তার জন্য আস্তে আস্তে খাবার খাবেন।দিনে ৩ বারের বদলে ৪-৫ বার খাবেন।তবে খাওয়ার মধ্যে আমিষ বেশি রাখবেন।সকালে কমপক্ষে একটা ডিম এবং রাতে ১ গ্লাস দুধ খাবেন। ২)রাতে ৮-৯ ঘন্টা ঘুমাবেন এবং দুপুরে ১-২ ঘন্টা ঘুমাবেন।মনে রাখবেন আপনি না ঘুমালে ক্যালরি ধরে রাখতে পারবেনন না। ৩)প্রচুর পরিমানে পানি খাবেন।যা আপনার খাবার কে হজম করতে সাহায্য করবে।বিশেষ করে সকালে খালি পেটে পানি খাবেন। ৪)স্বাস্থ্য বাড়ার সাথে সাথে আপনার শরীরে চর্বি ও পানি বেড়ে যেতে পারে,তাই আপনি দৈনিক ব্যায়াম করুন।এতে শরীর ফিট থাকবে। ৫)আপনার যদি বংশগত কারনে শরীর চিকন হয়ে থাকেন,তাহলে আপনি মোটা হতে পারার সম্ভাবনা কম।আর আপনি যদি হস্তমৈথন,সিগারেট খাওয়া,পর্নমুভি দেখা এসব খারাফ অভ্যাসে জড়িত হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই বন্ধ করুন।উপরের দেওয়া নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলুন।২-১ দিন না করতে পারলে হতাশ হবেন না। ৭)আপনার যে বয়স এই বয়সে ছেলেরা মোটা হওয়ার চাইতে লম্বা বেশি হয়,তাই এখন চিকন থাকাটা স্বাভাবিক। ৬)ভাই আপনি স্হায়ীভাবে স্বাস্হ্যবান হওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।তাড়াহুড়া করবেন না, নিয়ম মেনে চলুন আপনি স্বাস্হবান হতে পারবেন।ধন্যবাদ