আমরা জানি এ গ্রুপের ব্যক্তির এন্টিজেন এ আর এন্টবডি বি আছে আর 'ও' গ্রুপের ব্যক্তির এন্টিজেন নাই কিন্তু এ,বি এন্টিবডি আছে। তারপরও A ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তি O গ্রুপের রক্ত নিলে জমাট বাধে না কেন? ভিন্ন গ্রুপের রক্ত গ্রহল করলে রক্ত জমাট বাধে কেন?
আপনি সঠিক কথায় বলেছেন।আপনার প্রশের সুন্দর ব্যাখ্যা আছে। ও গ্রুপ কে বলা হয় সর্বজনীন দাতা মানে সবাই তার কাছ থেকে রক্ত নিতে পারবে।কিন্তু কেন?? কারন হচ্ছে ও গ্রুপের কোন এন্টিজেন নাই যার কারনে এই গ্রুপের রক্ত অন্য গ্রুপের সাথে জমাট বাধতে পারে না।কারন জমাট বাধতে হলে একই রকম এন্টিজেন -এন্টিবডি রিঅ্যাকশন হতে হবে,(যেমনঃ এন্টিজেন এ+এন্টিবডি এ= জমাট ) । এসব কথা শুধু থিওরি তে বলা হয় কিন্তুু বাস্তবে কখনও এরকম রক্ত দান করা হয় না, কারন এতে 100% রিঅ্যাকশন হবেই।এমনকি মারাও যেতে পারে, আশ্চর্য হলেন?? ব্যাখ্যা করা যাক, কেন??? যেমন আপনার কথায় ধরুন, এ গ্রুপের ব্যক্তি 'ও' গ্রুপ থেকে রক্ত নিলে তার রক্তে কি কি আসবে? এন্টিবডি এ এবং এন্টিবডি বি কিন্তুু কোন এন্টিজেন আসবে না, আবার 'এ 'গ্রুপের যে ব্যক্তি রক্তটি নিচ্ছে তার শরীরে কি আছে? এন্টিজেন এ এবং এন্টিবডি বি।এখন দেখুন 'ও' গ্রুপ থেকে এন্টিবডি-এ এবং' এ' গ্রুপ থেকে এন্টিজেন-এ মিলে জমাট বাধাবে।(এন্টিজেন এ+ এন্টিবডি এ = রক্তজমাট) । তবে দাতার কাছ থেকে যে এন্টিবডি আসে তার গ্রহীতার পুরো রক্তের পরিমানের তুলনায় কম হওয়ায় জীবন বাঁচানোর শেষ পর্যায়ে এমন রক্তদান হতে পারে তবে এতে পরে আবার চিকিৎসাও লাগে। তাছাড়া রক্তের আরো অসংখ্য ক্ষুদ্র গ্রুপ আছে যাদের নির্ণয় ই করা হয় না, সেগুলোর জন্য ও জমাট বাধতে পারে, আর সেই জন্য একই গ্রুপের রক্ত হলেও আগে ক্রস ম্যাচিং করেই তারপর রক্ত দান করা হয় তাছাড়া নিজ গ্রুপেও জমাট বাধতে পারে।