শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ফ্লাইং সসার বলতে আমরা ভিনগ্রহী 

আকাশযানকে বুঝি।

ফ্লাইং সসারই হোক আর গুপ্তচর বিমান 

 অশনাক্ত

বিমানই হোক- সবই UFO (Unidentified 

Flying Object)-এর

অন্তর্গত। সেই খ্রিস্টীয় বর্ষ শুরুর আগ 

থেকেই ফ্লাইং

সসার মানুষকে আকৃষ্ট করে চলেছে। মানুষ

 হতবুদ্ধি

হয়েছে, উত্তেজিত হয়েছে, খুঁজে চলেছে সেই

আকাশযানের উৎস। খ্রিস্টপূর্ব ১৫ শতকে 

মিশরের ফারাও

ছিলেন তুতেম খানম। তার সময় জনতা আকাশে 

দেখেছিল

বিচিত্র ধরনের আগুনের গোলা। সে সময় 

সেনাবাহিনী

খুঁজেছিল গোলার উৎস। হঠাৎ সেই গোলা

 অদৃশ্য হয়ে যায়।

১৬৮৬ সালের ৯ জুলাই তারিখে জার্মানির

 লিপজিক

অধিবাসীরা রহস্যময় এক ধাতব বস্তুকে 

উড়তে দেখেছিল।

১৭৫৬ সালে সুইডেনের লোকেরাও দেখেছিল

 এ ধরনের

অদ্ভুত রহস্যময় বস্তু। ১৯৮০ সালে সুইডেনের 

রাজধানী

স্টকহোমে একটি ত্রিকোণাকার বস্তু সন্ধ্যার 

পর প্রায়ই

দেখা দিতে লাগল। কালো বস্তুটির তিন কোণায়

 তিনটি

লাল আলো, মাঝে সবুজ বৃত্ত। কয়েকদিন পর 

আকাশযানটি

অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই সময় ইংল্যান্ডেও ইউএফও 

দেখা

দিতে লাগল। সেই সঙ্গে Crop Circle, 

 রাতের বেলা

কে বা কারা জমির শস্যেক্ষেতে শস্য মাড়িয়ে

 বিভিন্ন

আকৃতির নকশা তৈরি করে যায়। অনেকে বলেন,

ভিনগ্রহের প্রাণীরা এসব করে দিয়ে যায়। মানুষের

 পক্ষে

এই নকশা তৈরি করা অসম্ভব। কারণ অতি

 জটিল ও সূক্ষ

Crop Circle তৈরি করতে মানুষের প্রচুর সময় 

লাগবে, অন্তত

এক রাতের মধ্যে নয়। তবে Crop Circle কিছু 

মানুষ তৈরি

করেছে বলে জানা যায়। প্রত্যদর্শীরা Crop Circle

 তৈরি

করার সময় অনেক ইউএফও এবং আলোক 

বিন্দু দেখেছেন।

সবচেয়ে লৌহমর্ষক ঘটনা ঘটে ১৯৯৪ সালে। 

ওই বছর কিছু

লোক স্টোনহেঞ্জ ভ্রমণ করতে আকাশে ওঠেন।

 ৪৫ মিনিট

পর আবার স্টোনহেঞ্জ দেখতে এসে ১০০ মিটার

 দৈর্ঘ্যরে

একটা জটিল Crop Circle দেখতে পান। এত 

জটিল Crop

Circle মানুষ ৪৫ মিনিটে তৈরি করতে পারে না।

 ন্যাশনাল

জিওগ্রাফিকের প্লেন ক্যামেরাসহ অজানা 

আলোকে

তাড়া করে, তাদের ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা গেল, 

অজানা

আলো যে ক্ষেতের উপর দিয়ে যাচ্ছে, শস্য

 কাত হয়ে

যাচ্ছে, Crop Circle তৈরি হচ্ছে। অজানা 

আলো অদৃশ্য হয়ে

যায়। এগুলোও ইউএফও বটে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ