ঝুঁকি নিন, ভুল করুন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন।
অধিকাংশ মানুষ বিবেচনা না করে অথবা সাধ্যের অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেলে, যা তাদের নেয়া উচিত নয়। তার বদলে স্মার্ট ঝুঁকি নিতে হবে,যা বাস্তবে পূরণ করা সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যান। ভুল হলেও তা স্বাভাবিক। আঘাত না পেয়ে কেউ সামনে এগোতে পারে না।
# অনেক ত্যাগ করে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করুন।
জীবনের পথে চলতে গেলে ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়- এই নীতি সামনে রেখে লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগোতে হবে। আর সর্বশক্তি ও নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করতে হবে।
# শূন্য থেকে শুরু করে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠুন।
বহু সফল ব্যক্তি খালি হাতেই তাদের কাজ শুরু করেছিলেন। স্টারবাকস প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাওয়ার্ড স্কুলজ ও গোল্ডম্যান সাক্স-এর সিইও লয়েড ব্ল্যাংকফেইন বড় হয়েছেন এভাবেই। প্রতিযোগিতা ও দুর্ভাগ্য তৈরি করে বড় নেতা।
# বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
অনেকেই লক্ষ্য নির্ধারণে বুদ্ধির পরিচয় দেয় না। এ কারণে তারা লক্ষ্যমাত্রাই অল্প করে ধরে রাখে। ফলে মূল উপার্জন এর চেয়েও কমে যায়। তাই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিন, এক কোটির জায়গায় টার্গেট করুন ১০ কোটি টাকার। এ ক্ষেত্রে পুরো টাকাটা না পেলেও এর কাছাকাছি অন্তত পৌঁছাতে পারবে।
# নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করুন।
এটা বলা হয় যে, সুযোগ যখন প্রস্তুতির সঙ্গে মিলে যায় তখন সৌভাগ্য আসে। এ কারণে অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে বাস্তব জগতের সফল মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে এবং নিজের ভাগ্যকে নিজেই গড়ে নিতে হবে।
# সিলিকন ভ্যালি অনুসরণ করুন।
যুক্তরাষ্ট্রের হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির কেন্দ্র সিলিকন ভ্যালি বহু মানুষের ভাগ্য ফিরিয়েছে। শুধু প্রধান নির্বাহীরাই নয়, বহু চাকরিজীবীও এখানে খুব ভালো আছেন। এর কারণ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে বহু মানুষের সমৃদ্ধির সোপান।
# লাভ ছাড়া ঋণ নয়।
সরাসরি আর্থিক লাভ হয় না, এমন ঋণ বাদ দিন। ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনতে হলেও আপনার চিন্তা করতে হবে, এ থেকে কী লাভ হবে? যদি ব্যবসাক্ষেত্রে বড় অঙ্কের আর্থিক লাভ আনতে পারে গাড়িটি, তা হলেই তা কেনা যেতে পারে।
# যা ভালো লাগে, তাই করুন।
আপনার নিজের ভালোলাগার কাজটি করুন। আপনি যদি নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তাহলে গ্রাহকরাও আপনাকে খুঁজে বের করবে। আর এভাবে টাকাও খুঁজে বের করবে আপনাকে।
# কাজে বৈচিত্র্য আনুন।
বহু ধরনের ধারণা আনুন নিজের কাজে। এতে অনেক কষ্ট ও সময় ব্যয় হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে কষ্ট হলেও ভবিষ্যতে এর সুফল অবশ্যই পাবেন।
# টাকাকে অগ্রাধিকার দিন।
বহু মানুষই আর্থিক স্বাধীনতা আশা করে কিন্তু একে বাস্তবে অগ্রাধিকার দেয় না। যদি বাস্তবেই টাকাকে ভালোবাসেন তা হলে সে আপনার কাছে আসবেই। তবে এ জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
# গুরু খুঁজে নিন।
মধ্যবিত্ত সমাজে ধনী হওয়ার কলাকৌশল নিজে নিজে রপ্ত করা অনেক কঠিন। এ ক্ষেত্রে একজন ধনী ব্যক্তির আন্তরিক পরামর্শ প্রয়োজন। এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে নিন।
# অবিলম্বে উপার্জন শুরু করুন।
ধনী হতে চাইলে অল্প বয়স থেকেই উপার্জন করা শুরু উচিত। কেননা, যত বেশী বয়সে উপার্জন শুরু হবে ততই উপার্জন করার বয়স কম পাওয়া যাবে। তাছাড়া, বেশী বয়সে উপার্জন শুরু করলে, তখন আপনার পিছু টান থাকবে অনেক। আর আপনি টগবগে তরুণদের মতো কাজ ও তেমন করতে পারবেন না।
# সর্বাত্মক চেষ্টা করুন।
সর্বাত্মক চেষ্টাই আপনাকে পৌঁছে দেবে লক্ষ্যে। আপনি যখন কিছু চাইবেন, প্রকৃতি আপনাকে তা পাইয়ে দিতে তোলজোড় শুরু করে। সুতরাং চেষ্টা করুন, পেয়ে যাবেন।